সংসদ ৯ মাসে ব্যর্থ হলে গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে

আগামী সংসদ নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে বলে সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সময়ের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংসদ তা করতে ব্যর্থ হলে, প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে, এমন বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

এর আগে দুপুরে কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশপত্র হস্তান্তর করে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, যদি সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের কাজ শেষ না করতে পারে, তবে সরকার খসড়া বিল আকারে সংশোধনী প্রস্তাবগুলো গণভোটে উপস্থাপন করবে।

গণভোটে প্রস্তাবগুলো পাস হলে, সংসদীয় সংস্কার পরিষদ সেই প্রস্তাবগুলোকে অনুমোদন দেবে। আর যদি সেটিও না হয়, তাহলে গণভোটে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, গণভোট আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি কমিশন। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো সময় গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

গণভোটে আলাদা আলাদা প্রশ্ন নয়, বরং একটি প্যাকেজ প্রশ্নে ভোটগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

আলী রীয়াজ বলেন, গণভোটে একটি প্রশ্নই থাকবে, আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ ও তার আলোকে তৈরি সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে?’

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা ভিন্নমতের বিষয়ে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা সরকারকে বলেছি, এই বিষয়গুলো জনগণের কাছে নিয়ে যান। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, কমিশন তাদের আলোচনায় ৪৮টি বিষয়ে জনগণের সম্মতি ও অসম্মতিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।