আপনি পড়ছেন

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপ করেছে। নরওয়ের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর করা এক মামলায় আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো তেল ও গ্যাস উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়ার আগে এর সম্পূর্ণ বৈশ্বিক জলবায়ু প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার ইউরোনিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউরোপীয় আদালত

‘গ্রিনপিস নর্ডিক ও অন্যান্য বনাম নরওয়ে’ শীর্ষক এই মামলায় দুটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠী এবং ছয়জন কর্মী অভিযোগ করেন, ব্যারেন্টস সাগরে তেল অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়ে নরওয়ে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, কারণ এর জলবায়ু প্রভাব যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আদালত এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পায়নি। তবে ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, নতুন করে যেকোনো তেল-গ্যাস কূপ খননের আগে বিদেশে পোড়ানো জ্বালানি থেকে সৃষ্ট নিঃসরণসহ প্রকল্পের সম্পূর্ণ বৈশ্বিক জলবায়ু প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল (সিআইইএল)-এর আইনজীবী সেবাস্তিয়ান ডাইক বলেছেন, এই রায় একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করেছে। এর ফলে এখন থেকে সরকারগুলো বিচারিক পর্যালোচনা ছাড়া পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে এমন প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারবে না। একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তিরা জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য আরও শক্তিশালী আইনি ভিত্তি পেলেন।

নরওয়ের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী ক্যাথরিন হ্যামব্রো জানিয়েছেন, নরওয়ের চলমান কোনো পেট্রোলিয়াম উৎপাদন প্রকল্পই আদালতের এই নতুন শর্ত পূরণ করে না। আমস্টারডামের ভ্রাইজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ক্লেমেন্স কাউপা ডাচ সংবাদমাধ্যম এনইউ.এনএল-কে জানান, এই রায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এখন থেকে যেকোনো সিদ্ধান্তে জলবায়ু প্রভাবকে বিবেচনায় নিতেই হবে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলো এখন পর্যন্ত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছে।

এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০১৬ সালে। সে সময় গ্রিনপিস নর্ডিক, নেচার অ্যান্ড ইয়ুথ এবং ছয়জন কর্মী ব্যারেন্টস সাগরের কিছু অংশ তেল অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত করার নরওয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। তারা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এটি তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। নরওয়ের আদালতগুলো জলবায়ু ঝুঁকি স্বীকার করলেও লাইসেন্সগুলো বহাল রাখে। এরপর ২০২১ সালে মামলাটি স্ট্রাসবার্গে অবস্থিত ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে যায়।

সিআইইএল-এর নিকি রেইশ মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিতর্কিত প্রকল্পগুলো আরও টেকসই হয়ে যায়নি, কেবল অবশ্যম্ভাবী পরিণতিকে বিলম্বিত করা হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন যে, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন সম্প্রসারণ আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.