লেবাননে হামলা আরও তীব্র করার কথা ভাবছে ইসরায়েল

লেবাননে সামরিক অভিযান আরও তীব্র করার কথা বিবেচনা করছে ইসরায়েল। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে এই পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। শুক্রবার ইসরায়েলের সরকারি গণমাধ্যম ‘কান’ এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ নিজেদের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে, এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার একটি সংক্ষিপ্ত নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ তাদের সামরিক অবকাঠামো পুনর্গঠনে আংশিকভাবে সফল হয়েছে। তিনি এটিকে লেবাননের সঙ্গে বিদ্যমান নিরাপত্তা চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যান্য ইসরায়েলি সূত্রের দাবি, হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়া থেকে লেবাননে শত শত স্বল্প-পাল্লার রকেট পাচার করেছে এবং তাদের নেতৃত্ব কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

ইসরায়েলের এসব অভিযোগের বিষয়ে হিজবুল্লাহ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এই উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, যেখানে ২০২৪ সালের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে। এর পাশাপাশি লেবাননের ভূখণ্ডে প্রায় প্রতিদিনই হামলা অব্যাহত রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুরোদস্তুর আক্রমণে রূপ নেয়। লেবাননে চালানো এসব বর্বরোচিত হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, এই বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তারা কেবল আংশিকভাবে সেনা সরিয়েছে। এখনো তারা পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।