কিয়েভের নিষেধাজ্ঞায় ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ স্পষ্ট, দাবি রাশিয়ার

রুশ বাহিনীর ঘিরে ফেলা তিনটি শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছে গণমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিয়েভ। মস্কোর দাবি, এই নিষেধাজ্ঞাই ইউক্রেনের ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ প্রমাণ। শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জর্জি টাইখির একটি বিবৃতিকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির ‘আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার, বিদেশি ও ইউক্রেনীয় সাংবাদিকদের রাশিয়ার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান টাইখি। ওই প্রস্তাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে পোকরোভস্ক, দিমিত্রভ এবং কুপিয়ানস্ক শহরের আশপাশের সংঘাতপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। টাইখি সতর্ক করে জানান, ইউক্রেনের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের যেকোনো পরিদর্শন ইউক্রেনীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে এবং এর জন্য সাংবাদিকদের ‘দীর্ঘমেয়াদি সুনাম ও আইনি পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

মূলত গত ২৯ অক্টোবর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া একটি প্রস্তাবের পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসে। পুতিন সে সময় বলেছিলেন, অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় সেনাদের পরিস্থিতি দেখতে বিদেশি সাংবাদিকদের সুযোগ দিতে মস্কো প্রস্তুত, যাতে সাংবাদিকরা ‘নিজের চোখে দেখতে পারেন সেখানে কী ঘটছে’। এর পরদিন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে তারা এই সংক্রান্ত আদেশ পেয়েছে এবং সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ করিডোর তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত আছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার স্বীকার করেছেন যে পোকরোভস্কের পরিস্থিতি বর্তমানে ‘সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ’ এবং কুপিয়ানস্ক রণাঙ্গন ‘কঠিন’। তবে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সম্প্রতি ‘পরিস্থিতির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করেছে।