বেলারুশের বেলুনে ফের বন্ধ লিথুয়ানিয়ার বিমানবন্দর, কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াস বিমানবন্দরে আবারও ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে আসা সন্দেহভাজন চোরাচালানের বেলুনের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গীতানাস নৌসেদা বেলারুশের বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট নৌসেদা বলেন, ‘হাইব্রিড হামলা অব্যাহত রয়েছে। আবারও ভিলনিয়াস বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে এর জবাব দেব।’

এলআরটি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি জানান যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষম এবং প্রয়োজনে ‘সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বেলুন ধ্বংস করা সহজ কাজ নয়, এর জন্য অত্যন্ত নির্ভুলতার প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামরিক বাহিনী শিগগিরই সবচেয়ে উপযুক্ত এবং নিরাপদ সমাধান খুঁজে বের করবে।’

লিথুয়ানিয়ার অভিযোগ, বেলারুশ চোরাচালানের বেলুন ব্যবহার করে সীমান্তজুড়ে অবৈধ পণ্য, বিশেষ করে সিগারেট পরিবহনে সহায়তা করছে। নৌসেদার মতে, এই কর্মকাণ্ড বিমান চলাচলের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে এবং এর মাধ্যমে বেলারুশের সরকার লাভবান হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, চোরাচালান একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি অপরাধীদের এমন পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহিত করছে, যা বিমান চলাচলের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এবং বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়। শেষ পর্যন্ত বেলারুশের সরকারই এর থেকে লাভবান হয়।’

মিনস্কের ওপর চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে ভিলনিয়াস ইতোমধ্যে বেলারুশের সঙ্গে থাকা অবশিষ্ট দুটি সীমান্ত চৌকিও বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে নৌসেদা বলেন, ‘বন্ধ সীমান্ত আমাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থাকেই প্রতিফলিত করে। আমরা জানি, বেলারুশের সরকার চোরাচালান অব্যাহত রাখতে এবং লিথুয়ানিয়ার ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। তবে আমাদের হাতেও জাতীয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা মতো অস্ত্র রয়েছে। আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে সেগুলো ব্যবহার করব।’

গত এক সপ্তাহে একই ধরনের ঘটনার কারণে ভিলনিয়াস বিমানবন্দরের কার্যক্রম চারবার এবং কাউনাস বিমানবন্দরের কার্যক্রম একবার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। লিথুয়ানিয়ার কর্তৃপক্ষ এই বেলুন অনুপ্রবেশকে দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ‘হাইব্রিড হামলা’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে।