শাস্তি প্রত্যাহার: দলে ফিরলেন বিএনপির ১৭ নেতা

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার ও পদ স্থগিত হওয়া ১৭ নেতার শাস্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর মাধ্যমে ১৫ জন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন এবং দুজনের পদের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব নেতাকর্মী তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়।

যেসব নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেন সুমন এবং একই উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. জামাল উদ্দিন গাজী। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন এবং ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম আজমের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এই তালিকায় আরও রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. সাদেক আলী ও সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মোসা. ফিরোজা বেগম (সোনা)।

এ ছাড়া হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহিন, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হাওলাদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. বাবর আলী বিশ্বাস এবং ভোলাহাট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলামের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবুল হোসেন মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রাকিব মাখনের পদের ওপর থেকে স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।