গাজা নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল ফিলিস্তিন

গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাসের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। সোমবার পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে দেশটি।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রস্তাব গাজায় একটি স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় যেসব দেশ তাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এবং আরব ও ইসলামি রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ফিলিস্তিন। গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ অবসানের জন্য প্রস্তাবটি অবিলম্বে কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে গাজা উপত্যকায় শাসন, পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তা তদারকির জন্য ‘বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি পরিষদ গঠন এবং ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থাপিত ২০-দফা পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে এই খসড়া প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল, যা গত ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, এই পরিকল্পনায় হামাসকে বাদ দিয়ে গাজা পুনর্গঠন এবং একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চালানো নৃশংস হামলায় এ পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই বর্বরোচিত হামলায় আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং পুরো উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।