বিএনপির প্রচারে জিয়া-তারেকের ছবি ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এনসিপির

নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীরা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেন ব্যবস্থা নেয় এমন দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এনসিপির নেতারা এ দাবি উত্থাপন করেন।

সংলাপে দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, প্রার্থীরা দলের বর্তমান প্রধান ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না এটা আচরণবিধিতে স্পষ্ট। বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। তাই কোনো প্রার্থী যদি তারেক রহমান বা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহার করেন, তাহলে ইসিকে আচরণবিধি প্রয়োগ করতে হবে। এটিই হবে কমিশনের প্রথম পরীক্ষা।

তিনি আরও বলেন, ইসির সক্ষমতা কতটা, তা এই বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বোঝা যাবে। তারেক রহমানের ছবি কেউ ব্যবহার করলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। শক্তিশালী কারও বিরুদ্ধে একই আইন প্রয়োগের সক্ষমতা ইসির আছে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।

সংলাপে অংশ নিয়ে এনসিপির প্রতিনিধিরা আচরণবিধিকে ‘অবাস্তব’ ও ‘নির্বাচনী ঐতিহ্যের পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে পোস্টার, মাইকিং, জনসভা, জনসম্পৃক্ততা ঐতিহ্যগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান আচরণবিধির অনেক শর্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

তার অভিযোগ ইসির লোকবল কম, অভিযোগ তদন্তের সক্ষমতা সীমিত, ফলে বিধান প্রয়োগের বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ।

জহিরুল ইসলাম মূসা আরও বলেন, বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, বা প্রশাসনকে দিয়ে করানো হবে কি না এটা স্পষ্ট নয়। প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা থাকলেও বাস্তবায়নবিধি নেই।

সরকারি বিধি অনুযায়ী প্লাস্টিক পোস্টার নিষিদ্ধ এবং প্রিন্ট করতে হবে কাপড় বা পরিবেশবান্ধব উপকরণে। এ প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা বলেন, গ্রামীণ এলাকার প্রার্থীরা এত অল্প সময়ে কাপড়ের ব্যাগে প্রিন্ট করে কীভাবে প্রচারণা চালাবেন? এটি পুরোপুরি অমূলক বিধান।

আচরণবিধির ৭(চ) অনুযায়ী, প্রার্থী কেবল তার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুনে ব্যবহার করতে পারবেন। ছবির আকারও নির্ধারিত (৬০×৪৫ সেমি সীমা)।

এনসিপির দাবি, বিধান সবার জন্য সমানভাবে ও কঠোরভাবে প্রয়োগ হলে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা বাড়বে।