সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত জামায়াতসহ ৮ দলের

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল। পাঁচ দফা দাবি থেকে না সরে তারা জানিয়েছে, দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি একযোগে চালিয়ে যাবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আট দলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আট দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আন্দোলনও করছি এবং আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে ইলেকশনে যাব এমন আলোচনাই হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে।

হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, জোটের আওতা আরও বাড়ানোর জন্য অন্যান্য ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সংস্কারপন্থী ইসলামী ও গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, নীতিগতভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও দেশপ্রেমিক দলগুলোকেই জোটের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যারা সংস্কার ও জুলাই সনদের বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে ঐক্যের কোনো সুযোগ নেই।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের দাবি থেকে তারা সরে আসেনি উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত ‘হ্যাঁ-না ভোট’ আসলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অংশ।

তিনি বলেন, হ্যাঁ-না ভোট কিসের জন্য? জুলাই সনদের জন্য। তো আমাদের এক নম্বর দফাই হলো জুলাই সনদ।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দাবি আদায় ও নির্বাচন দুটি প্রক্রিয়াই সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হবে।

সম্মেলনে জানানো হয়, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আট দল মাঠে সক্রিয় থাকবে। আন্দোলন ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির ঘোষণা দেন জোটের লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান ও জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।

বর্তমানে জোটে থাকা আটটি দল হলো- জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।

জোটের নেতারা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আরও দল এতে যুক্ত হতে পারে।