শ্রীলঙ্কাকে হারাল পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

ক্রিকেটের মাঠে শনিবার ছিল দুটি ভিন্ন সিরিজের ভিন্ন ম্যাচের দিন, তবে ফলাফল ছিল প্রায় একই রকম একপেশে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাহিবজাদা ফারহানের বিধ্বংসী ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে সহজেই হারিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন জানিথ লিয়ানাগে, যিনি ৩৮ বলে ৪১ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়া কুশল পেরেরা ২৫ এবং কামিল মিশারা ২২ রান করেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নওয়াজ অসাধারণ বোলিং করেন। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন এবং এক পর্যায়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান কোনো সমস্যায় পড়েনি। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। তিনি ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাঝে সাইম আইয়ুব ২০ ও বাবর আজম ১৬ রান করে আউট হলেও ফারহানের ইনিংসে পাকিস্তান ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এই জয়ে পাকিস্তান ২৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধান নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৬.২ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। দলের পক্ষে রস্টোন চেস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ৪৩ রানের বিনিময়ে একাই ৪টি উইকেট শিকার করে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান। এছাড়া জ্যাকব ডাফি ও মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট লাভ করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডও শুরুতে কিছুটা চাপে পড়েছিল। ৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মার্ক চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েল দলের হাল ধরেন। চ্যাপম্যান ৬৩ বলে ৬৪ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলেন এবং ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ৩০.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। এই জয়ের মাধ্যমে কিউইরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় এবং নিজেদের মাটিতে টানা ১১টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ে।