অনলাইনে রপ্তানির দরজা খুলল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের রপ্তানি খাত সম্প্রসারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বিটুবিটুসি) কাঠামোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মার্কেটপ্লেসে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

নতুন ফরেন এক্সচেঞ্জ সার্কুলারের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা এমন রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজভাবে সমর্থন করতে পারে যেখানে বিদেশি কনসাইনিরা চূড়ান্ত ক্রেতা নয়, বরং মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। এই ধরনের মধ্যবর্তী হতে পারে কোনো গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম, মার্কেটপ্লেস বা তৃতীয় পক্ষের ওয়্যারহাউস।

রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের এডি ব্যাংককে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ওয়্যারহাউসে নিবন্ধনের প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু বিটুবিটুসি কাঠামোয় সাধারণত প্রচলিত বিক্রয় চুক্তি থাকে না, ব্যবসায়ীরা প্রোফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতে চালানের মূল্য ঘোষণা করতে পারবে। এডি ব্যাংক কনসাইনির নামে প্রস্তুতকৃত শিপিং ডকুমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে, যারা ওয়্যারহাউসিং বা অন্যান্য সুবিধা প্রদান করছে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে এডি ব্যাংকগুলো সাধারণ ব্যাংকিং চ্যানেল ও বৈধ আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরের মাধ্যমে রপ্তানি অর্থ গ্রহণ করতে পারবে। যেহেতু প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক বিক্রিতে একাধিক চালান অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এক-এক চালান ও এক-এক পেমেন্টের মিলের শর্ত শিথিল করেছে। এডি ব্যাংকগুলো প্রথমে যা পাঠানো হয়েছে তা প্রথমে সমন্বয় (এফআইএফও) পদ্ধতি ব্যবহার করে স্থির করতে পারবে।

শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের ক্রস-বর্ডার ই-কমার্সকে সহজতর করবে, দেশের পণ্যের আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থিতি শক্ত করবে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বিশ্বব্যাপী বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেবে। এভাবে দেশের রপ্তানি খাতকে বৈচিত্র্যময় ও ডিজিটাল রিটেইল চ্যানেলে আরও কার্যকরভাবে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে।