হৃদয় ছাড়া সবাই ব্যর্থ, হারের পরও সতীর্থদের ওপর আস্থা লিটনের

টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা হতাশাজনক হলো বাংলাদেশের জন্য। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। আইরিশদের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায়।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। পাওয়ার প্লে-তেই মাত্র ২০ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ। একটা পর্যায়ে দলের স্কোর ৭৪ রানে ৮ উইকেটে পরিণত হলে বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কা তৈরি হয়।

তবে দলের এই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে একাই বুক চিতিয়ে লড়েছেন তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। তিনি ৫০ বলে ৮৩ রানের একটি অনবদ্য ও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। জাকের আলী এবং শরিফুল ইসলামের সঙ্গে পৃথক দুটি ৪৮ রানের জুটি গড়লেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাওহীদ হৃদয় হারের কারণ হিসেবে বড় জুটি গড়তে না পারাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটা বড় পার্টনারশিপ হলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো।’ উইকেটকে দোষ না দিয়ে তিনি নিজেদের পরিকল্পনার ব্যর্থতাকে সামনে এনেছেন। এমনকি ব্যাটিং অর্ডারে নিজের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মজা করে বলেন, ‘আপনারাও হয়তো অনেকে ভাবেন, আমি টিমেই থাকার মতো না।’

দলের এমন হারের পরেও অধিনায়ক লিটন কুমার দাস সতীর্থদের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন না। তিনি বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মনে করি বোলাররা দারুণ পারফর্ম করেছে, বিশেষ করে মোস্তাফিজ।’ তবে ২৫-৩০ রান বেশি দেওয়ার আক্ষেপও ঝরেছে তার কণ্ঠে। লিটন আরও জানান, তিনি তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে খুব খুশি এবং বিশ্বাস করেন, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে তারা আইরিশদের হারাতে সক্ষম।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করেছে আইরিশরা। দলটির উইকেটকিপার লরকান টাকার জানিয়েছেন, সঠিক জায়গায় টানা বল করে যাওয়াই তাদের সফলতার মূল চাবিকাঠি। তিনি মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ম্যাথু হামফ্রেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। টাকার মনে করেন, পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নেওয়াই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

এই হারের পর সিরিজে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।