তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইনে ক্ষুব্ধ বেইজিং, উচ্ছ্বাস তাইপেইতে
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে তাইওয়ান সবসময়ই একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। এবার দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন একটি আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বেইজিংয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংক্রান্ত একটি আইনে স্বাক্ষর করার পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।

মঙ্গলবার ‘তাইওয়ান অ্যাশুরেন্স ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাক্ট’ নামক বিলটি আইনে পরিণত হয়। নতুন এই বিধান অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশিকা পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করতে হবে। এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দুই দেশের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের ওপর থেকে দীর্ঘদিনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে বেইজিংকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বুধবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাইপে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র ক্যারেন কুও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই আইনটি তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের গভীরতা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যৌথ মূল্যবোধের প্রতীক। এটি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার পথ সুগম করবে।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাইওয়ান দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তবে বেইজিং বরাবরই দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ‘চীনের তাইওয়ান অঞ্চল’-এর মধ্যে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ঘোর বিরোধী বেইজিং।
চীনা মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের মূল স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের প্রথম ‘লাল রেখা’, যা অতিক্রম করা কোনোভাবেই উচিত হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ান প্রশ্নে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সব ধরনের সরকারি যোগাযোগ বন্ধ রাখা।
এদিকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং আশা প্রকাশ করেছেন যে, নির্দেশিকাগুলো নিয়মিত পর্যালোচনার ফলে এখন থেকে তাইওয়ানিজ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থাগুলোতে বৈঠকের সুযোগ পাবেন। যদিও বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাইওয়ান সরকার বরাবরই বলে আসছে, বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে স্বাধীনভাবে সম্পর্ক স্থাপনের পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.