ইসি সচিব: তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি

নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের দাপ্তরিক ও মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি থাকলেও তফসিল ঘোষণার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশনের প্রশাসনিক অবস্থান সম্পর্কে এমনটাই স্পষ্ট করেছেন ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান। যদিও ডিসেম্বরের শুরুতেই তফসিল হতে পারে বলে জোর আলোচনা ছিল, তবে সচিব জানালেন, কমিশন এ বিষয়ে এখনো দিন ঠিক করেনি।

এবারের সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন, কারণ এর সঙ্গে গণভোট আয়োজনের বিষয়টিও যুক্ত রয়েছে। এসব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ১১টা থেকেই তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক ওই বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

তফসিল ঘোষণার প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ করতে পারে নাই।’ তবে দিনক্ষণ ঠিক না হলেও নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে দাবি করেন তিনি।

নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা গুজব এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য প্রচারের অনুরোধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের ব্যাপারে জোর প্রস্তুতি চলছে, তাই ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে সবার বিরত থাকা উচিত।

উল্লখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল হতে পারে বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল ইসির।

ইউএনডিপি ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত এই কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও আচরণ বিধিমালা। ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ); সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর পরিচিতি’—শীর্ষক এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইসি সচিব।

এর আগে কর্মশালার সকালের অধিবেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাদাভাবে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল রহমানেল মাছউদ। তিনি সংবিধান, নির্বাচনের গুরুত্ব, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং নির্বাচনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট আইন (সিআরপিসি, সিপিসি, অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট) ও মামলা নিষ্পত্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।