রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহার নিয়ে ইইউর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জব্দ করা সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছে। একইসঙ্গে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার ব্যাংকটি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে ব্যাংকটি উল্লেখ করে, ‘ব্যাংক অব রাশিয়ার সম্পদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ব্যবহারের যে কোনো পদ্ধতি এবং অননুমোদিত ব্যবহারের অন্য যে কোনো রূপ অবৈধ। এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং সম্পদের সার্বভৌম দায়মুক্তির নীতিমালার লঙ্ঘন।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিপূরণ ঋণ হিসেবে এই সম্পদ ব্যবহারের বিষয়টি জাতীয় আদালত, বিদেশি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে চ্যালেঞ্জ করা হবে। এছাড়া সালিশি ট্রাইব্যুনাল এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিচারিক ফোরামেও এ নিয়ে আইনি লড়াই চালানো হবে। এরপর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূখণ্ডে বিচারিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

পৃথক একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, জব্দ করা সম্পদের কারণে হওয়া ক্ষতির জন্য তারা ব্রাসেলস-ভিত্তিক আর্থিক ক্লিয়ারিং হাউস ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আদালতে মামলা করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইউরোক্লিয়ার ডিপোজিটরির কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাংক অব রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ এর ফলে ব্যাংক অব রাশিয়া তাদের তহবিল ও সিকিউরিটিজ পরিচালনা করতে পারছে না।’

বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, যার সিংহভাগই রয়েছে ইউরোপে। ইইউ ২০২৬ ও ২০২৭ সালের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে এর কিছু অংশ কিয়েভকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।

তবে বেলজিয়াম ইইউর এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। দেশটি বলছে, এর আইনি পরিণতি হতে পারে এবং এটি শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে পারে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও (ইসিবি) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই প্রস্তাব বিশ্ববাজারে ইউরোর ওপর আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে ইউক্রেনের জন্য রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করা হবে কি না।