ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হত্যাচেষ্টার জন্য ভারতকে দায়ী করে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। একইসঙ্গে তারা ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বন্ধ করে দিয়ে সব কূটনীতিককে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫) মহান বিজয় দিবস ও দলটির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এই দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শরীফ ওসমান হাদীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।

দোয়া মাহফিলের আগে দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ‘সরাসরি ভারতের ইন্ধনে শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। হামলাকারীরা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে সামাজিক মাধ্যমে بھارتی নাগরিকরাই উল্লাস করে জানাচ্ছে। হামলাকারীদের যে পরিচয় পাওয়া গেছে, তাতেও এই দাবির মিল পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বছরের পর বছর ধরে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তার মতে, ভারত কখনো বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হতে পারে না।

সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিবালোকে গুলি করা হয়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। তিনি ভারতীয় পণ্য বয়কট এবং ‘ভারতের দালালদের’ প্রতিহত করার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

সাইয়েদ কুতুব আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬ ডিসেম্বরকে ‘ভারতের বিজয় দিবস’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা বাংলাদেশের বিজয়কে ছিনতাইয়ের শামিল এবং এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম ও খতীব মাওলানা মুফতি নাজির আহমদ। এসময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক খোমেনী ইহসানের আহ্বানে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে দলটি আত্মপ্রকাশ করে। দলটি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এবং পাসপোর্টে ইসরায়েল ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আলোচনায় আসে।