উত্তর কোরিয়ার সাথে বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কিছুদিন ধরে চলতে থাকা পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে কূটনৈতিক উপায়ে কাজ না হলে সংঘাত ছাড়া কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার শততম দিন উপলক্ষ্যে গতকাল এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে খুবই বড় ধরনের সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে চাইলেও বিষয়টা খুব কঠিন বলে জানান তিনি। তবে অন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মতো তিনিও শান্তিপূর্ণ উপায়ে উত্তর কোরিয়া সংকটের সমাধান চান বলে জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে তার কূটনৈতিক চেষ্টাই বেশি থাকবে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। 

অনতিবিলম্বে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চান ট্রাম্প। এ সময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে আমেরিকার দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাডের জন্য ১০০ কোটি ডলার মূল্য পরিশোধ করার তাগিদের কথাও উল্লেখ করেন। কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প চীনের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শি চিনপিং সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। আমি তাঁকে খুব ভালোভাবে চিনি। তিনি ধ্বংস এবং মৃত্যু দেখতে চান না। আমি জানি তিনি কিছু করতে পারবেন। তবে না পারারও সম্ভাবনা রয়েছে।’

চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে ফোনালাপে চীনের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সমস্যা হলো চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। আমি বুঝতে পারি এই পরিস্থিতে তিনি আমাদের সাহায্য করার জন্য সবকিছু করছেন। এ কারণে আমি এখন তাঁর জন্য কোনো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না। প্রথমে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।'

দীর্ঘ ৪২ মিনিটের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকের নানা প্রশ্নের উত্তরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের এই দুটি দেশে অনেক দিন যাবৎ অস্থিরতা বিরাজ করছে। তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে শান্তি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সৌদি আরব ও ইসরায়েল সফরের সময় তার প্রশাসন এসব বিষয়ে কথাবার্তা বলবে বলে জানান তিনি। 

ইসলামী দেশগুলো প্রসঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, 'সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কেউ যেন সৌদি আরবের সাথে যুদ্ধ না করে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। কিন্তু সৌদি আরব আমাদের সাথে ন্যায্য আচরণ করছে না।'