মির্জা ফখরুল: ট্রানজিশনাল প্রসেস নস্যাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে

দেশ বর্তমানে একটি পরিবর্তনশীল বা ‘ট্রানজিশনাল’ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে একটি বিশেষ মহল এই অন্তর্বর্তীকালীন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে অত্যন্ত ভয়ংকর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন অভিযোগ করেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, মূল্যবোধ ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে দেশ এখন নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ও পার্লামেন্ট দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি চক্রান্তের শিকার হয়ে নিহত ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে আরও দক্ষতার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা ইতিবাচক। এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও সচেতন ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক জানান, দেশের স্থিতিশীলতা ও জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করে তারা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, অন্য দলের তুলনায় জাতীয়তাবাদী দলই তাদের কাছে বেশি আস্থাভাজন। এ সময় সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসন ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে এসব আসনে জমিয়তের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়। মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, নীলফামারী-১ আসনে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এবং সিলেট-৫ আসনে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।