গুলিস্তানে শপিং কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থিত খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ভবনটির আটতলার ছাদে থাকা একটি গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রায় দেড় ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টায় সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে আগুনের খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আগুনের তীব্রতা বিবেচনায় সিদ্দিক বাজার ও সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের মোট ১০টি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। দীর্ঘ চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। আগুন নেভানোর কাজে টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মূল ভবনটি সাততলাবিশিষ্ট। তবে ছাদের ওপর টিনের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট কক্ষ তৈরি করে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, যা ভবনটিকে কার্যত আটতলায় পরিণত করেছে। ওই গুদামগুলোতে বিপুল পরিমাণ ধর্মীয় সামগ্রী যেমন—জায়নামাজ, তসবি, আতর ও টুপি মজুত ছিল। আগুনে এসব মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

উদ্ধারকাজ শেষে ঘটনাস্থলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মো. মামুনুর রশিদ জানান, ভবনটির ওপরে টিন দিয়ে গুদাম বানিয়ে মালামাল রাখা হয়েছিল। সেখানে আমাদের ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ মজুত ছিল। ভবনটিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট না থাকায় এবং আগুন উঁচুতে হওয়ায় ভেতরে প্রবেশ করে কাজ শুরু করতে দমকলকর্মীদের কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় একটু বেশি লেগেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ছাদের ওপরের বর্ধিত অংশটি বৈধ কি না, তা নথিপত্র যাচাই সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় মার্কেটটি বন্ধ ছিল। ফলে ভেতরে সাধারণ মানুষ বা ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল না এবং কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট নাকি অন্য কোনো কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।