আপনি পড়ছেন

আজ শাবান মাসের ১৫ তারিখ। আজকের রাত পবিত্র শবে বরাত। এ রাতে আল্লাহর কাছে সমস্ত পাপাচার থেকে তওবা করার নির্দেশনা আছে ইসলাম ধর্মে। বলা হয়ে থাকে, এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন।

muslim praying

রাসূল সা. এক হাদিসে বলেছেন, ‘চেষ্টার মাধ্যমে বান্দার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে।’ এই হাদিসের আলোকে আলেমগণ মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়েছেন, পবিত্র শবে বরাতে দোয়া- দরুদ পাঠ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করার।

শবে বরাতে কবর জিয়ারতের নির্দেশনা পাওয়া যায় বিভিন্ন হাদিসের গ্রন্থে। রাসূল সা. এই রাতে কবর জিয়ারত করতেন, এমন বর্ণনা আছে। তাই এই রাতে মরহুম আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারতের বিশেষ বরকত আছে।

কিন্তু দল বেঁধে, নারী- পুরুষ নির্বিশেষে কবর জিয়ারতে যাওয়া বা সম্মেলনের মতো কিছু করার কোনো বর্ণনা হাদিসে নেই। সুতরাং আজ রাতে এ ধরনের কোনো আয়োজন করা ইসলামসম্মত নয়।

শবে বরাতে পটকা ফাটিয়ে উৎসব করা, ভালো খাবার- দাবার খাওয়া; এ ধরনের কোনো কিছুর প্রমাণ নেই হাদিসে। সাহাবা রা. গণও এ ধরনের কোনো রীতি পালন করেননি। যদিও দেশে এ রকম বহু ব্যাপার প্রচলিত আছে।

আলেমগণ বলেন, ভালো খাবার খাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শবে বরাতে ভালো খাবার খেতেই হবে, এই ধরনের বিশ্বাস বা এটিকে ইবাদত মনে করা ত্রুটিপূর্ণ কাজ। আলেমগণ এ ধরনের তৎপরতা থেকে উম্মতকে সাবধান করেছেন।

হযরত আয়শা রা. –এর বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়, রাসূল সা. পুরো শাবান মাসেই অধিকহারে ইবাদত করতেন। রমজান মাসের পর শাবান মাসেই রাসূল সা. বেশি রোজা রাখতেন বলেও হাদিসের গ্রন্থে উল্লেখ আছে। শাবান মাসে রোজা রাখা তাই বিশেষভাবে বরকতপূর্ণ।

পবিত্র শবে বরাতে ইবাদত করা অবশ্যই মঙ্গলজনক। কিন্তু এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোনো অবকাশ নেই। আলেম উলামাগণ বাড়াবাড়ি করা থেকে উম্মতকে সব সময় সতর্ক করে এসেছেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর