আপনি পড়ছেন

শিশুদেরকে রোজা পালনে অভ্যস্ত করতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন কুরতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এর কোনোটাই বাচ্চাকে কষ্ট দিয়ে নয়। খুব বেশি কষ্ট হলে জোর করে তাদেরকে দিয়ে রোজা রাখানো উচিত নয়।

ramadan for children

শিশুদের নিকট রোযার ফজিলত সম্পর্কিত হাদিসগুলো গল্প আকারে তুলে ধরুন। তাদেরকে জানাতে হবে যে, সিয়াম পালন জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। জান্নাতের একটি দরজার নাম হচ্ছে ‘আর-রাইয়্যান’। এ দরজা দিয়ে শুধু রোযাদারগণ প্রবেশ করবে।

রমজান আসার পূর্বেই কিছু রোযা রাখানোর মাধ্যমে সিয়াম পালনে তাদেরকে অভ্যস্ত করে তোলা। যেমন- শা’বান মাসে কয়েকটি রোযা রাখানো। যাতে তারা আকস্মিকভাবে রমজানের রোযার সম্মুখীন না হয়।

প্রথমদিকে দিনের কিছু অংশে রোযা পালন করানো। ক্রমান্বয়ে সেই সময়কে বাড়িয়ে দেয়া।

একেবারে শেষ সময়ে সেহরি গ্রহণ করা। এতে করে তাদের জন্য দিনের বেলায় রোযা পালন সহজ হবে।

প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে রোযা পালনে উৎসাহিত করা।

ইফতার ও সেহেরীর সময় পরিবারের সকল সদস্যের সামনে তাদের প্রশংসা করা। যাতে তাদের মানসিক উন্নয়ন ঘটে।

যার একাধিক শিশু রয়েছে তিনি সন্তানদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে পারেন। তবে খুবই সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া শিশুটির প্রতি কোনো অবিচার করা না হয়।

তাদের মধ্যে যাদের ক্ষুধা লাগবে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে অথবা বৈধ খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখুন। খেলনা বাছাইয়ে এমন খেলনা নিন যেটা দিয়ে খেলতে পরিশ্রম করতে হয় না।

ভাল হয় যদি বাবা তার ছেলেকে মসজিদে নিয়ে যান। বিশেষত আসরের সময়। যাতে সে ইফতারের আগের প্রতীক্ষার সময়টুকু বিভিন্ন দ্বীনি ক্লাসে অংশ নিতে পারে এবং মসজিদে অবস্থান করে কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহ তা’আলার যিকিরে রত থাকতে পারে।

বাচ্চারা পছন্দ করে এমন খাবার, চকলেট, মিষ্টি, ফল-ফলাদি ও শরবত প্রস্তুত করে দিন। যাতে তারা সিয়াম পালন অব্যাহত রাখার প্রেরণা পায়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর