আপনি পড়ছেন

রমযান মাসে অধিক পরিমানে কিয়ামুল লাইল বা রাতের নফল সালাত আদায় করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ কাজ। রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমযানে কিয়ামুল লাইল বা রাতের নফল সালাত আদায় করবে তার পূর্বের সমস্ত (ছোট) গুনাহ মোচন হয়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)

taraweeh namaz

আব্দুর রাহমান বিন আব্দুল কাদের বলেন, রমযানের এক রাতে আমি উমর (রা:) এর সাথে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম লোকজন বিচ্ছিন্নভাবে নামায আদায় করছে। এ অবস্থা দেখে উমর (রা:) বললেন, এ সমস্ত লোককে একজন ক্বারীর পেছনে নামায পড়ার জন্য একত্রিত করা হলে তা হবে অতি উত্তম। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন এবং উবাই ইবনে কাব (রা:) এর পেছনে নামায পড়ার জন্য লোকজনকে একত্রিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। (সহীহ বুখারী, অধ্যায়: ইতিকাফ, সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ইতিকাফ)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'রাতের সালাত দু’রাকাত, দু’রাকাত, যখন তোমাদের কেউ ভোর হওয়ার আশঙ্কা করবে, সে এক রাকাত সালাত আদায় করবে, যা তার পূর্বের সালাতগুলো বেজোড় করে দিবে।' (বুখারি, হা/ ৯৯০ ও মুসলিম হা/৭৪৯)

রাতের সর্বশেষ সালাত বেতের‎

কেউ যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে ইচ্ছা করে তাহলে সে যেন বেতেরকে রেখে দেয় এবং তাহাজ্জুদ পড়ার পর পড়ে। আব্দুল্লাহ ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাতে তোমরা তোমাদের সর্বশেষ সালাত বিতির আদায় কর‎।' (বুখারি: (৯৯৮), মুসলিম: (৭৫১))

মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, 'যে রাতে সালাত আদায় করে, সে যেন তার সর্বশেষ সালাত বেতের ফজরের পূর্বে আদায় করে। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ নির্দেশ দিতেন।' মুসলিম: ১৫২-(৭৫১)

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর