আপনি পড়ছেন

উত্তরবঙ্গ তথা পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া)র রাজনীতিতে রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক সাংসদ পাঞ্জাব বিশ্বাসের নাম এখনো সবার মুখে মুখে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতা তাঁর নির্বাচনী এলাকাসহ সারাদেশের তরুণদের কাছে ভ্রাতৃতূল্য অভিভাবক। এরই ধারাবাহিতায় তারুণ্যের অহংকার মেধাবী রাজনৈতিক পাঞ্জাব বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিটি মুহূর্তে এর ব্যাপ্তি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যে কারণে উত্তরবঙ্গবাসী তাকে নিয়ে গর্ববোধ করে থাকেন। অন্যদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার নির্বাচনী আসন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া)য় রয়েছে সমান পদচারণা। পাশাপাশি সরকারের পক্ষে জনমত গঠনে যুগোপযোগী ভূমিকা পালন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সভাসেমিনারে সরকারের উন্নয়ন চিত্র নিরলসভাবে তুলে ধরায় ব্যস্ত এই রাজনৈতিক।

bd election pabna 4

সামনে নির্বাচন, দিন যাচ্ছে নির্বাচনের উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও তৈরি হচ্ছেন নিজেদের পছন্দের পার্থিকে সমর্থন দিতে। বলাবাহুল্য এবারের নির্বাচন অন্য যে কোনো সময়ের নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করবে। এরই ধারাবাহিতায় গত মাসের শেষদিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাঞ্জাব বিশ্বাসের নির্বাচনী এলাকায় গেলে সেখানকার ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, পাঞ্জাব বিশ্বাসেই ভরসা পাচ্ছেন তারা। তাদের বক্তব্যে এটাও ফুটে উঠে, কিছুদিন আগেও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নানাভাবে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিল। যে কারণে দলের অনেক পুরোনো ত্যাগী নেতাকর্মী আওয়ামীলীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় নেয় অবস্থা। স্থানীয় সাংসদ (ভূমিমন্ত্রী)র একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ আসনে আজ দল উপদল ও কোন্দলের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যার বৈতরণী প্রভাব আগামি নির্বাচনে পাওয়া যাবে।

জনমত জরিপ করতে গিয়ে ঈশ্বরদীতে শাহাপুরের এক চায়ের দোকানে চা পানের সময় নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলতেই, সরাসরি পাঞ্জাব বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। দোকানি বললেন, ভালো লোকের তো আজকাল ভাত নাইরে বাবা। পাঞ্জাব বিশ্বাসের নাম নিয়ে বললেন, শতভাগ শত লোক এবং কোনো হাস্তান মাস্তান নিয়ে তাকে চলতে দেখিনি। তাকে দল নমিনেশন দিলে তার এক বক্তৃতায় দেশ এক করে ফেলবে। আল্লাহ্ জানে, কি হয়। আজকাল টাকা দিয়ে নাকি নমিনেশন বেচা হয়, তারতো আবার টাকা নাই। আমি বললাম, নির্বাচনে তো টাকা লাগে। তাকে নমিনেশন দিলে টাকার অভাবে তিনিতো ভোট করতে পারবেন না। সাথে সাথে দোকানি হেসে বললেন, তার টাকার অভাব নাই। আগেও মানুষ তাকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালা নিয়ে নির্বাচিত করেছিল। এখন যদি সে আসে, এলাহী কাণ্ডকারখানা হবেরে বাবা।

এরপর তার নিজ থানা আটঘরিয়া বাজারের একজন রিক্সাওয়ালার সাথে কথা হলো। তার ভাষায়, পাঞ্জাব বিশ্বাস যদি টিকিট পায়, আটঘরিয়া দল থাকপিনা। সব এক হয়ে যাবি। তার মতো ভালো মানুষের আজকে যে কদর নাই বাবা। তার বিরুদ্ধে সব চোরেরা এক আছে। এই যে এখন আওয়ামীলীগ-লীগের গোলমাল সব মালের ভাগ লিয়ে বাবা। পাঞ্জাব বিশ্বাসের কাছে এই সব চোরের দাম নাই। এখন যারা নেতা তারে কথা আর কি কবো!

দেবোত্তর বাজারে একজন মুদি দোকানদারের কাছে সিগারেট কেনার উছিলায় জানতে চাইলাম, এবার ভোটের খবরাখবর কী? মধ্য বয়সের দোকানি বলে উঠে, সামনে বিএনপির হাবিব আর আওয়ামীলীগের পাঞ্জাব শুনতিছি। প্রশ্ন করলাম ফলাফল কি হবে? তিনি বললেন, পাঞ্জাব পরীক্ষায় পাশ করা নেতা। কতো লোকের চাকরি দিছে ঘুষ ছাড়া। স্কুল কলেজ করিছে এলাকায় বেশ কয়ডা। ঐ দেখেন, পুরদিকের রাস্তায় চলে যান, একদন্ত পাওয়ার আগেই সব মাইল পোস্টে পাঞ্জাব নগর লিখা। বললাম, মানে কি? দোকানীর উত্তর, তার নামে গ্রামের নাম আছে, মাদ্রাসা আছে, হাট আছে। এসব মানুষের ভালবাসা। সে হচ্ছে আমার উপজেলার একটা রত্ন বাবা।

অন্যদিকে এসব কারণে তারা ঠাঁই নিয়েছেন গণমানুষের নেতা ও তারুণ্যের অহংকার, অত্যন্ত বিচক্ষণ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ পাঞ্জাব বিশ্বাসের দিকে। ফলে এখন পাবনা-৪ আসনে পাঞ্জাব বিশ্বাসের পাল্লাই ভারী। তাঁর সুচিন্তিত মেধা আর মননের ফলশ্রুতিতে বিভক্তি আর কোন্দল এড়িয়ে ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার সৎ-সাহসী ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এখন একমঞ্চে উপবিষ্ট হওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র।

দুইদিন এই এলাকায় পরিদর্শন করে যা জানা গেলো, পাঞ্জাব বিশ্বাসকে মনে করা হয় অসাধ্য সাধন করার যোগ্যতা আছে তার। তার যাদুকরী বক্তব্যে মানুষ নাকি পঙ্গপালের মতো তার দিকে ধাবিত হয়। বলাবাহুল্য পাঞ্জাব বিশ্বাসের সান্নিধ্য ও সঠিক দিকনির্দেশনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পাঞ্জাব বিশ্বাস বলেন, জনগণ সবসময় নেতাদেরকে কাছে পেতে চায়। তাই আমিও সবসময় জনগনের খুব কাছে থেকেই তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করে আসছি। আমি সব সময় তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি।

আমার নির্বাচনী এলাকার সাথে যথেষ্ঠ যোগাযোগ আছে। এখনো এলাকার সকল নেতা-কর্মীরাও আমাকে যথেষ্ঠ ভালোবাসেন। তাছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমিও তাদের ওপর শতভাগ ভরসা রাখি এবং তারাও আমাকে ঘিরে ভরসা পাচ্ছেন। এটাও বলে রাখছি, আমি কখনোই প্রিয়নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইনি, ইচ্ছাও নেই। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচন যেহেতু সুষ্ঠু হবে, সে কারণে দলীয় মনোনয়ন খুবই হিসেব করে দিবেন। একজন প্রার্থীর ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা, তার ব্যক্তিগত রিজার্ভ ভোট, প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সাথে তার ব্যক্তিত্বের যৌক্তিক পার্থক্য, দলীয় সকল নেতা কর্মীর প্রতি সমান নজর দিয়ে দলের মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠার যোগ্যতা জড়িত।

দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অবিচল আস্থা রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার স্বার্থে আশা করি তিনি আমাকেই মনোনয়ন দিবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদীকে ঘিরেই আমার রাজনীতি কাজেই শতভাগ নিশ্চিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে এলাকায় কাজ করার সুযোগ দিবেন।

ডাক্তার মোস্তফা কামাল
সম্পাদক, দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

প্রিয় পাঠক, ভিন্নমতে প্রকাশিত লেখার বিষয়বস্তু, রচনারীতি ও ভাবনার দায় একান্ত লেখকের। এ বিষয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপার কোনোভাবে দায়বদ্ধ নয়। ধন্যবাদ।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর