আপনি পড়ছেন

ইতিকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘কোন জিনিসকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা ও তার প্রতি মনকে আবদ্ধ রাখা।’ চাই সেটা ভাল হোক বা মন্দ। পারিভাষিক অর্থে ইতিকাফ বলতে বুঝায় ‘আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য হাছিলের নিয়তে মসজিদকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা এবং সেখানে অবস্থান করা’ (ফিকহুস সুন্নাহ ১/৪১৬-১৭)।

itikaf

বিশ রমযান দিবাগত সন্ধ্যার পূর্বে ইতিকাফের জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ)। নবী করীম (ছাঃ) রমযানের শেষের দশকে ইতিকাফ করতেন। আর শেষের দশক শুরু হয় বিশ রমযানের দিনের শেষ থেকে। শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে মাগরিবের পর ইতিকাফ শেষ হবে।

ইতিকাফরত অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে শায়খ উছায়মীন বলেন, ‘ইতিকাফকারীর উচিত আল্লাহর আনুগত্য তথা ছালাত, কুরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহর যিকিরে ব্যস্ত থাকা। কারণ এটাই ইতিকাফের উদ্দেশ্য। সে তার সাথীদের সাথে সামান্য কথা বললে তাতে কোন সমস্যা নেই। বিশেষত, যদি তাতে ফায়েদা থাকে। (ফাতাওয়া উছায়মীন, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, প্রশ্নোত্তর নং ৪৫৫)।

আবু সাঈদ খুদরী হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করে’ (বুখারী হা/২০২৭)। ইসলামে রাত থেকেই দিন গণনা শুরু হয়। সে হিসাবে একুশ রমযানের মাগরিবের পূর্বে মসজিদে ইতিকাফ স্থলে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের দিন মাগরিবের পরে বেরিয়ে আসবে।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য সুন্নাত হচ্ছে পীড়িত ব্যক্তিকে দেখতে যাবে না, কোন জানাযার ছালাতে শরীক হবে না, স্ত্রীর সাথে মিলবে না, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে যাবে না (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২১৬০; মুত্তা, ঐ হা/২১০০)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর