আপনি পড়ছেন

একজন নারীর জন্য রমযানের শেষ দশদিনে ইতিকাফ করা জায়েয। বরং ইতিকাফ নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই সুন্নাত। উম্মাহাতুল মুমিনীন রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় ইতিকাফ করেছেন এবং নবীজীর (স:) ওফাতের পরও ইতিকাফ পালন করেছেন।

ramadan

ইমাম আল-বুখারী (২০২৬) এবং মুসলিম (১১৭২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন যে,

‘আল্লাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মৃত্যু দানের আগ পর্যন্ত রমযানের শেষ দশদিন ইতিকাফ পালন করতেন, তারপর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ পালন করতেন।’

আউন আল-মা‘বূদ গ্রন্থে বলা আছে- ‘এই হাদিস দ্বারা দলীল পাওয়া যায় যে ইতিকাফের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সমতুল্য।’

শাইখ আবদুল আযীয ইবন বায বলেছেন,

‘ইতিকাফ নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নাত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি রমযানে ইতিকাফ পালন করতেন এবং সবশেষে তাঁর ইতিকাফ শেষ দশদিনে স্থির হয় এবং তাঁর কিছু স্ত্রীগণও তাঁর সাথে ইতিকাফ পালন করতেন। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পরও তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ পালন করতেন। আর ইতিকাফের জায়গা হচ্ছে মসজিদসমূহ; যেখানে জামাআতের সালাত আদায় করা হয়।’

পুরুষ বা মহিলা কারো জন্যই জুমআ মসজিদ ছাড়া বাড়িতে ইতিকাফ করা সিদ্ধ নয়। (বাক্বারাহ্ ১৮৭; আবুদাউদ, মিশকাত হা/২১০৬ ‘ইতিকাফ’ অনুচ্ছেদ)।

মহিলাদের জন্য মসজিদে পৃথক জায়গা থাকলে এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে কোন জুমআ মসজিদে গিয়ে ইতিকাফ করতে পারবে। রাসূল (সা.)-এর স্ত্রীগণ মসজিদে ইতিকাফ করতেন। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০৯৭; বুখারী হা/২০৪১, ২০৪৫)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর