ম্যাচ শেষে যা বললেন দুই অধিনায়ক মাশরাফি কোহলি

শক্তির বিচারে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তারপর সম্প্রতি যেমন খেলছিল বাংলাদেশ এবং প্রতিপক্ষ ভারত বলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালটা বেশ জমজমাট আশা করছিলেন অনেকে। কিন্তু সেমিফাইনালের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে খুব বেশি সুযোগ দেয়নি ভারত। মাশরাফিদের নয় উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বিরাট কোহলির দল।

ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হার-জিতের গল্প শুনিয়েছেন দুই অধিনায়ক। মাশরাফি যা বললেন তার মূল অর্থ, বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

মাশরাফি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো টুর্নামেন্ট গেছে আমাদের জন্য। কেউ ভারতেও পারেনি যে আমরা সেমিফাইনাল খেলব। তবে আজকের হার অবশ্যই খুব হতাশার। আমরা আরও ভালো খেলতে চেয়েছিলাম। পথেও ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তামিম, মুশফিক ও সাকিব পরপর আউট হয়েছে। আর হয়ে ওঠেনি।’

বাংলাদেশ দলপতি যোগ করেছেন, ‘আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে। আজকেও (গতকাল) যেমন খেলাটাকে হাতে নিয়েছি, আবার ছেড়ে দিয়েছি। এই ব্যাপারগুলি ঠিক করতে হবে। টুর্নামেন্টে অবশ্যই ভালো লাগা আছে অনেক। তবে এই ধরনের ম্যাচগুলিতে যেভাবে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম, সেসব আরও শিখতে হবে।’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই অভিজ্ঞতা মনে করে মাশরাফি বলেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপ ও এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দুইটি বড় টুর্নামেন্টে আমরা নক আউট খেললাম। দুটি ম্যাচেই প্রায় একইরকম খেলেছি। যার মনে, আমরা মানসিকভাবে এইসব ম্যাচের জন্য ততটা প্রস্তুত না। স্কিল বা শারীরিক দিক থেকে অতটা পিছিয়ে নেই। মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে, এই গ্রুপটিই যদি শিখে ২০১৯ সালে ফেরে, তাহলে কাজ হবে। দর্শক হয়ে বসে থাকলে লাভ হবে না।’

অপর দিকে, ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বললেন, ‘পরিপূর্ন একটা ম্যাচ খেললাম। আমরা চেয়েছিলাম সম্মিলিত পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচটা জিততে। তবে ৯ উইকেটে জিতব এতটা আশা করিনি। এটাই হয়তো আমাদের কোয়ালিটি।’

কোহলি আরও বলেছেন, ‘আমাদের বোলাররাও খুব ভালো বল করেছে। ম্যাচে কখনোই আমরা তাদের এগিয়ে যেতে দেইনি। দ্রুত কয়েকটা উইকেট ফেলে দিতে পেরেছি। সেটাই তাদের ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছে।’