আপনি পড়ছেন

মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন লাইলাতুল কদর। এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। ৬১০ হিজরীতে শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নিকট সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআন নাজিল হয়। পবিত্র কুরআনে 'সূরা ক্বদর' নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

shab e qadr

আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন, 'নিশ্চয় আমি তা (কুরআন) ক্বদরের রাত্রিতে নাযিল করেছি। আপনি কি জানেন ক্বদরের রাত্রি কি? ক্বদরের রাত্রি সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাত্রিতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এই রাত্রি পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার- ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত ।' (সূরা আল- ক্কদর, আয়াত ১-৫)

যে ঈমান সহকারে ও প্রতিদানের আশায় লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রিতে ক্বিয়াম করবে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী, ১৯০১; মুসলিম: ৭৬০)

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে লইলাতুল কদর সম্পর্কে বলুন, এটা কি রমজানে না অন্য কোন মাসে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা রমজান মাসেই। আবু যর আবার প্রশ্ন করলেন, এটা কি নবীগণ যতদিন জীবিত আছেন ততদিন অবশিষ্ট থাকবে? নাকি এটা কিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা কিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে। তবে এ রাতের মর্যাদা ও পুরস্কার আল্লাহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে দিয়ে থাকেন।
.
লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনে নিহিত রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর’। (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)

তবে বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা রমাযানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর।’ (বুখারী : ২০১৭)

কদরের রাতে কদর উপলক্ষে বিশেষ কোনো নামাজ নেই। এই রাতে তারাবিহ পড়বেন। তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। এছাড়া দান-সাদকা, দুয়া, জিকির, দরুদ, কুরআন তিলাওয়াত করবেন। আর শবে কদরের বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়বেন।

আয়েশা ( রা.) নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর লাভ করি, তাহলে কি দুআ করবো? তিনি (সা.) বলেন:

'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী।' (আহমদ,৬/১৮২)

অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর