বাবা-মা রাজি নয়, পুত্রবধূকে কিডনি দিতে চান শ্বশুর

গত এক বছর ধরে কিডনির অসুখে ভুগছেন রাজস্থানের বাসিন্দা হেমদাসের একমাত্র ছেলে অশোকের স্ত্রী বেদামি। সম্প্রতি ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। বেদামি নিজের বাবা-মাকে কিডনি দেয়ার জন্য আবেদন জানালে তারা মুখ ফিরিয়ে নেন। এমন সময় বেদামির শ্বশুর স্বেচ্ছায় কিডনি দান করার কথা জানান।

বেদামিকে ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, কিডনি শুধু পেলেই হবে না। রক্তের গ্রুপ থেকে শুরু আরো অনেক কিছু মিলতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে বাবা-মা বা এরকম ঘনিষ্ঠ কেউ কিডনি দিতে চাইলে এসব মিলে যেতে পারে সহজেই। এছাড়া প্রতিস্থাপনের পর কিডনি নতুন দেহে খাপ খাইয়ে নেয়ারও একটি বিষয় আছে।

তাই কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা জানতে পেরে বেদামি প্রথমেই বাবা-মাকে কিডনি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু মেয়ের আবেদনে সাড়া দেন না। এমনকি বেদামির নিজের বোনও কিডনি দিতে রাজি হননি।

এমন অবস্থায় মানুসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন আঠাশ বছরের বেদামি। গত চার মাস ধরে আমদাবাদের ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড রিসার্চ হসপিটালে ডায়ালিসিস চলছে তার। তার ট্যাক্সি ড্রাইভার স্বামী চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই অবস্থায় কিডনিদাতা না পাওয়া গেলে কি হতে পারে তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না স্বামী ও তার অসুস্থ স্ত্রী। ঠিক এমনই সময়ে অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটে। অশোকের বাবা হেমদাস অর্থাৎ বেদামির শ্বশুর পুত্রবধুকে কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন।

হেমদাসকে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে একটি ছাড়পত্র পেলে তারপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই জানা যাবে তাঁর কিডনি বেদামির শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে কিনা। 

এ বিষয়ে হেমদাসের বক্তব্য, 'আমার পুত্রবধু তো আমারই ঘরের মেয়ে। তাকে কিডনি দান করে সুস্থ করে তোলা আমার দায়িত্ব। আর আমি সেটাই করতে চাচ্ছি।'