আপনি পড়ছেন

রমজান মাস শেষের দিকে। চারপাশে ঈদের আমেজ। ঈদ মুসলমিদের জাতীয় উৎসব। তাই রাসূল (সা.) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে ঈদের সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন।

eid salat women

তিনি বলেন, 'কর্তব্য হল, পর্দানশিন কুমারী মেয়েরা; এমন কি ঋতুবতী মহিলারাও ঈদগাহে যাবে। তবে ঋতুবর্তী মহিলাগণ নামাযের স্থান থেকে দূরে অবস্থান করে কল্যাণময় কাজ এবং মুমিনদের দু’আতে শরীক হবে।' (বুখারী, হাদীস নং ৯২৭)

এ সুন্নত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় আজো প্রচলিত আছে। সুতরাং যে সব এলাকায় তা চালু নেই সেসব স্থানের সচেতন আলেম সমাজ এবং নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের কর্তব্য হল, আল্লাহর রাসূলের সুন্নতকে পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে মহিলাদেরকেও ঈদের এই আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য এগিয়ে আসা।

তবে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, পর্দাহীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ইত্যাদি যাতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকে সকলকে সচেতন ও সাবধান করা জরুরী। মহিলাগণ যখন বাড়ি থেকে বের হবে সর্বাঙ্গ কাপড় দ্বারা আবৃত করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে অন্য মানুষের নিকট দিয়ে গমন করার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে মহিলা ব্যভিচারিণী।' (নাসাঈ, হাদীস নং ৫০৩৬)

তবে কোন সমাজে যদি ঈদগাহে/মসজিদে মহিলাদের ব্যবস্থা না থাকে সে ক্ষেত্রে সঠিক মতানুসারে মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে জামাত করা বা ঘরে একাকি ঈদের সালাত আদায় করার প্রয়োজন নাই।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর