ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!

গত ২৫ এপ্রিলের পর আবারও গত মঙ্গলবার রাজধানীসহ বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় বাংলাদেশ বড় ধরণের ঝুঁকিতে আছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পুনঃ পুনঃ ভূমিকম্প খুব বড় কিছুর অশনি সঙ্কেত বলেই মনে করছেন তাঁরা।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের ঢাকায় প্রথমে দুপুর ১টা ৯ মিনিটে এবং দ্বিতীয় দফায় ১টা ৪০ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৬১০ কিলোমিটার দূরে নেপালে। উৎপত্তিস্থলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো প্রথম দফায় ৭ দশমিক ৩ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬ দশমিক ৩।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও ছিলো বাংলাদেশ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নেপালে। এবং সেবার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বার বার ভূমিকম্প হওয়া এবং ধীরে ধীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসাটা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই বড় ধরণের একটি সতর্কবার্তা।

বাংলাদেশের একমাত্র আর্থ অবজারভেটরি ঢাকা ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে ভূকম্পন মাপা হলেও যেসব স্থলে শুধুমাত্র ভূকম্পন অনুভূত হয় সেখানে ভূপৃষ্ঠের কম্পনের মাত্রা মাপা হয় ইনটেনসিটি স্কেলে। ইনটেনসিটি স্কেলে মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৩ থেকে ৪ মাত্রার।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইনটেনসিটি স্কেলে মাত্রা ৭-এ পৌঁছালে বাংলাদেশে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে।

গত কয়েকদিনের তথ্য-উপাত্ত ঘেটে জানা যায়, ভূগর্ভস্থ ফাটলে জমা হওয়া শক্তি নিঃসরণ হচ্ছে বলেই বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। হিসেব মতে, বাংলাদেশের পার্শ্বের অরুণাচল অংশের ভূগর্ভস্থ শক্তি ভূমিকম্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বের হয়ে গেছে। এছাড়া নেপালের দিকেও গত কয়েক দিনের ভূমিকম্পে প্রায় অর্ধেকের বেশি শক্তির নিঃসরণ ঘটেছে। এখন কেবল বাংলাদেশের সিলেটের পাশে অবস্থিত ডাউকি ফাটলের ভুটান সিকিম অংশের ভূগর্ভস্থ শক্তি নিঃসরণ বাকি আছে।

ভুটান সিকিম অংশে গত প্রায় হাজার হাজার বছর ধরে ভূগর্ভস্থ শক্তি জমা হচ্ছে। কিন্তু শক্তি নিঃসরণের কোনো ঘটনা ঘটে নি। আর তাই নেপাল অংশে গত কয়েকদিনের দফায় দফায় ভূমিকম্প ভুটান সিকিম অংশকে সচল করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভূতত্ত্ববিদগণ। সেটা হলে বাংলাদেশের জন্য এক ভয়ঙ্কর ব্যাপারই হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নেপালে ১০১ বছরের বৃদ্ধ উদ্ধার

নেপালে ‘উচ্ছিষ্ট’ ত্রাণ পাঠালো ভারত!

পাকিস্তানের ত্রাণ কেউ খাচ্ছে না নেপালে