আপনি পড়ছেন

বিয়ে করা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। মুসলমানের জন্য একটি অবশ্য কর্তব্যও বটে। কিন্তু অনেক পুরুষই অসচ্ছলতার কারণ দেখিয়ে বা অজুহাতে বিয়ে করতে চায় না। মাস শেষে যে টাকাটা পকেটে বেতন হিসেবে ঢুকে সেটিকে অপর্যাপ্ত আখ্যা দিয়ে পরিবারে আরেকজনকে নিয়ে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে।

foreign marrige

কিন্তু এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালার বক্তব্য ভিন্ন। বিয়ের আগে আল্লাহ যেমন একজনের খাদ্য যোগাড় করে দেন, বিয়ের পরও তেমনি আল্লাহ দুই জনের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (পুরুষ হোক বা নারী) তাদেরকে বিবাহ করিয়ে দাও এবং তোমাদের মধ্যে দাসদাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও (বিবাহ করিয়ে দাও)। যদি তারা অভাবী হয় আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী বানিয়ে দেবেন।’ [কুরআন কারীম: ২৪:৩২]

এ ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর হাদিসও রয়েছে। নবীজি বলেন, যে অভাবের ভয়ে বিবাহ পরিত্যাগ করল, সে আমার উম্মত না। [ইয়াহয়া উলূমুদ্দীন: ১২৪৬]

অনেক মানুষ সচ্ছলতা না থাকার কারণে ও অত্যধিক খরচের ভয়ে বিয়ে করতে সাহস করে না। এক্ষেত্রে উচিত ঋণ করে হলেও বিয়ে করা। কারণ তিন ধরণের ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে হাদিসে আছে,

‘যে ব্যক্তি আল্লাহ রাস্তায় গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর শত্রু ও তার শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ঋণ করে; যে ব্যক্তির কাছে কেউ মারা গেলে তার দাফন-কাফনের জন্য ঋণ করে এবং যে ব্যক্তি বিবাহ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছে আর এ কারণে তার নিজের ধর্মের ব্যাপারেও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে, ফলে সে বিয়ের জন্য ঋণ করেছে, কেয়ামতের দিন এই তিন প্রকার ঋণী ব্যক্তির পক্ষ থেকে আল্লাহ তাআলা ঋণ পরিশোধ করে দেবেন।’ [ইবনে মাজাহ শরীফ: ২৪৩৫]

মুসতাদরাক হাকিম কিতাবে উল্লেখ আছে, রাসূল সা. বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে বিয়ে কর কারণ নারীরা তোমাদের কাছে সম্পদ নিয়ে আসবে।’ [মুসতাদরাক হাকিম : ২৭২৬]

দরিদ্রতার ভয়ে বিয়ে না করা যে কোনো ব্যক্তি বিয়ে করার পর সচ্ছল হয়ে ওঠবেন বলে মহান আল্লাহ ও রাসূল সা. ওয়াদা করেছেন। সুতরাং বিয়ে করুন, সচ্ছল হোন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর