বোলিং বিভাগে উন্নতির আশায় মুশফিক

দিনে দিনে বহু দুর্যোগ পেরিয়ে এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন প্রায় প্রতিষ্ঠিত। টপা বা মিডল অর্ডারে এক-দুইজন ছাড়া সবাই দলের অটোমেটিং চয়েজ। কিন্তু বোলিং লাইন এখনো নড়বড়ে। এক ম্যাচে ভালো তো পরের ম্যাচে গোণ্ডগোলে। এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতির আশা করছেন মুশফিকুর রহিম। তবে টেস্ট অধিনায়ক মনে করেন, একটা সুস্থির বোলিং লাইন পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।

সর্বশেষ পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। তিনি সেরা ব্যাটসম্যানদেরও একজন। বোলার হিসেবে সাকিবর পরের অবস্থানটা তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজের।

দলে ঢোকার এক বছর হওয়ার আগেই মিরাজ যখন দ্বিতীয় সেরা বোলার হয়ে যান, তখনই বোঝা যায় যে, অন্য বোলারদের ঘাটতি কতোটা গভীর।

সর্বশেষ পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন পাঁচজন পেসার। পাঁচ টেস্টের সবগুলো খেলেছেন, এমন পেসার একজনও নেই। কেউ নিতে পারেননি অন্তত ১০ উইকেট। বোলিং লাইনের টালমাটাল অবস্থাটা কিন্তু এই পরিসংখ্যান থেকেও বেরিয়ে আসতে বাধ্য।

এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমরা স্থির। কিন্তু বোলিং লাইনটাকে সময় দিতে হবে। আর আমরা টেস্টে এতো গ্যাপ দিয়ে দিয়ে সুযোগ পাই যে, প্রতিটি সিরিজেই নতুন বোলিং কম্বিনেশন হয়ে যায়। ফলে তাদেরকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে কষ্ট হয়। আবার আমরা যদি একটা কম্বিনেশন নিয়ে অন্তত দুই বছর খেলতে পারি, তাহলেও একটা শক্ত বোলিং লাইন তৈরি হবে।’

সাফল্যের গ্রাফটা উর্ধ্বমুখী না হলেও রুবেল-তাসকিন-মোস্তাফিজ, সাকিব-তাইজুল-মিরাজের সমন্বয়ে যে বোলিং লাইন, সেটাকে বৈচিত্রপূর্ণই মানছেন মুশফিক।

মুশফিকের বোলিং লাইনে প্রাণ ফিরতে পারে চম্পকা রামানায়েকে এলে। তার সঙ্গে বিসিবি চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়ান সাবেক স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে আনতেও। চম্পকা এর আগেও বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ছিলেন। তার অধীনেই নিজেদের সেরা রূপ পেয়ে যান শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনরা।

প্রতিষ্ঠিত ব্যাটিং লাইনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত বোলিং আক্রমণটাও পেয়ে গেলে, ওয়ানডের মতো টেস্টেও নিশ্চিত দাপুটে হয়ে উঠবে বাংলাদেশ; এ কথা বলে দিতে নিশ্চয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না!