সাকিব: অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জেতা সম্ভব, খুবই সম্ভব

দুদিন পরই এক অন্য রকম টেস্ট অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। রোববার থেকে প্রথমবারের মতো বর্তমান বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। গত ১১ বছরে দুই দল একবারের জন্যও টেস্টে মুখোমুখি হয়নি। এমন একটা সিরিজের আগে, বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসান বললেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে।

সাকিব বলেন, ‘এই সিরিজে বাংলাদেশের জেতার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। সম্ভাবনা না থাকার কিছু আমি দেখছি না। আমার প্রত্যাশা হলো সিরিজের দুটি ম্যাচই জেতা।’

প্রত্যাশা পূরণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে স্পিন সহায়ক উইকেট। স্পিন খেলতে অস্ট্রেলীয়দের প্রথাগত দুর্বলতাটাই কাজে লাগাতে চাইছেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসানরা। তবে শুধু স্পিনের উপর নির্ভর করে টেস্ট জেতার স্বপ্ন দেখাটা উচিত হবে না বলে একদিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন তামিম ইকবাল। সাকিবও বললেন একই কথা।

‘এই সিরিজে স্পিন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু শুধু তাদের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের পেসাররাও উইকেট নেয়ার মতো দক্ষ। কখনো কখনো বড় জুটি হয়ে গেলে পেসাররা এসে তা ভেঙে দিতে পারে। যা স্পিনারদের চার-পাঁচ উইকেট নেয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যানদেরও রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।’

সব বিভাগের সম্মিলিত পারফর্মে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া-বধ সম্ভব বলে মনে করেন সাকিব। সাকিবের মনে করার পিছনে শক্তি জোগাচ্ছে এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ানদের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাও। সর্বশেষ দুই সফরে, শ্রীলঙ্কা ও ভারতে সিরিজ হেরেছেন স্টিভ স্মিথরা।

সাকিব বলেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়া দল একটু অনভিজ্ঞ। বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে তাদের দলে। এ ছাড়া এশিয়ায় তাদের সাম্প্রতিক পারফর্মও খুব একটা ভালো নয়। আশা করি তাদের সেই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশেও বজায় থাকবে!’

২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সিরিজটি। দুই ম্যাচের সিরিজের পরের ম্যাচটি হবে চার সেপ্টেম্বর থেকে। প্রথম ম্যাচ হবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চটগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের পরের ম্যাচ।

এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ সিরিজ খেলেছিলো দুই দল। আগে দুই দল চারবার টেস্টে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। চারটি ম্যাচেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগের সেই অস্ট্রেলিয়া এবং তখনকার বাংলাদেশের সঙ্গে অবশ্য তুলনাই করা যেতো না। দুই দলের পার্থক্য ছিলো আকাশ-পাতালের পার্থক্যের মতোই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আর সে রকম নেই। সাকিবের ভরসাটা এখানেই।