সাকিবের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক

১১ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া যখন টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো, বাংলাদেশ দলে তখন বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত কোনো নামই ছিলো না। কিন্তু গত ১১ বছরে বদলে গেছে দৃশ্যপট। বাংলাদেশ দলে এখন আছেন সাকিব আল হাসান— বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়াকে সামনে অসাধারণ এক কীর্তি গড়েছেন সাকিব। নিজের সাফল্যের মুকুটে যোগ করেছেন নতুন এক পালক।

২০০৬ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সময় সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরুই করেননি। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর এ বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দশক পূরণ করেছেন তিনি। কিন্তু কখনো খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বাকি সব টেস্টখেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই তিনি খেলেছেন। বাঁহাতি স্পিনে সব দলের বিপক্ষেই অন্তত একবার হলেও ইনিংসে পাঁচ বা এর বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাদ ছিলো কেবল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবার সুযোগ পেয়ে চক্রটা পূরণ করে ফেলেছেন তিনি।

সাকিবের আগে এমন কীর্তি গড়েছেন মাত্র তিনজন বোলার। তাদের দুজনই স্পিনার— শ্রীলঙ্কান মুত্তিয়া মুরালিধরন ও তার স্বদেশি রঙ্গনা হেরাথ। অন্যজন প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইন। এবার তাদের পাশে নাম উঠে গেলো সাকিব আল হাসানেরও।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন বিকেলে নাথান লায়নকে এলবিডব্লিউ করে শুরু করেন সাকিব। শেষ করেন জস হ্যাজলউডকে দিয়ে। মাঝখানে তার শিকার হন ম্যাট রেনশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স।

সাকিব সবচেয়ে বেশি, তিনবার ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এই কীর্তি তিনি দুইবার করে গড়েছেন ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। উপমহাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একবার করে ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন সাকিব। টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এতোদিন কোনো টেস্ট খেলেননি তিনি। সম্প্রতি টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের এখনো যেহেতু টেস্ট অভিষেক হয়নি, সেহেতু তাদেরকে রাখা হয়েছে এই হিসেবের বাইরেই।