বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ব্যর্থতার বৃত্তে বাংলাদেশ

৩৫৩ রান দিয়ে ফেলার পরই মূলত ম্যাচের এপিটাফটা লেখা হয়ে গিয়েছিলো। তারপরও আশায় বসে ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। কিন্তু আশা পরিণত হয়েছে হতাশায়। বোলারদের একে দেয়া ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেছে ১০৪ রানে।

প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পর এই হারের মাধ্যমে সিরিজ ছিটকে গেলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে ২২ তারিখে। যা আসলে বাংলাদেশের জন্য সম্মান রক্ষার আয়োজন।

পার্লে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। আগের দুদিন বৃষ্টি হয়েছিলো বলে মাশরাফি পেসারদের কাছ থেকে ম্যাচের শুরুর অংশে দারুণ কিছু আশা করছিলেন। কিন্তু পেসাররা আরো একবার হতাশা ডোবান অধিনায়ককে।

ওপেনিংয়েই ৯০ রানের জুটি পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যা তাদের বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার ইনিসংটিই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়া বাংলাদেশকে। তারপরও আশার বাতিটা জ্বলছিলো, যদিও তা নিভু নিভু করে।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে নিয়ে শুরু করে। এ দুজন ৪৪ রানের জুটি গড়েন। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পর তামিম করেন ২৩ রান। তার বিদায়ের পর লিটন দাস নেমে ১৪ রান করেই দলকে বিপদে ফেলে আউট হন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সব ইনিংস খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও লিটন আসলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার কিছুই দেখাতে পারছেন না। তারপরও এক রকম জোর করেই যেনো তার কাছ থেকে পারফর্ম্যান্স বের করে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে।

৬৯ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে পথ দেখান মুশফিক ও ইমরুল কায়েস। তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ৯৩ রান। যা বাংলাদেশের আশার বাতিতে জোগান দেয় জ্বালানি। কিন্তু সেই জ্বালানি বেশিক্ষণ টেকেনি। ১৩ রানের ব্যবধানে ইমরুল কায়েস, মুশফিক ও সাকিবকে হারায় বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতি থেকে আর বের হতে পারেননি মাশরাফিরা।

ইমরুল কায়েস করেন ৬৮ রান। আর মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। পরের দিকে সাব্বির ও নাসির তেমন কিছুই করতে পারেননি। তবে মাহমুদুল্লাহ ৩৫ রান করে কিছুটা ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদশের ইনিংস শেষ হয় ২৪৯ রানে।