ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি

কলঙ্কিত ফিক্সিং থেকে যেন বেরুতেই পারছে না পাকিস্তান ক্রিকেট। ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ হয়েছে পাস্তিানের ক্রিকেটাররা। ২০১০ সালে মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের কাণ্ডে কলঙ্কিত করেছে পুরো ক্রিকেটকেই। পিএসএলে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে কদিন আগেও নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার। একদিন আগে শোনা গেল পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ পর্যন্ত পৌঁছেছে ফিক্সাররা। বিষয়টাতে এবার নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়ানডে সিরিজ চলছে এখন। এই ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগে নাকি ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদ। দুবাইয়ে বসবাসকারী পাকিস্তানি এক নাগরিক নাকি প্রস্তাব দেন সরফরাজকে।

পাকিস্তান দলপতি সাথে সাথেই বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন পিসিবি ও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে। সরফরাজকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নাজাম শেঠি। পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট নিজস্ব গতিতে কাজ করছে বিষয়টি তদন্তে।

বিষয়টি বেশ আমলে নিয়েছে আইসিসিও। পিসিবির পাশাপাশি আইসিসিও নিজস্ব কায়দায় তদন্ত করছে সরফরাজকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

সরফরাজকে বর্তমানে পাকিস্তান দলের সবচেয়ে ‘আত্মপ্রাণ’ ক্রিকেটার মনে করা হয়। তার নেতৃত্বে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। কদিন আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে দলটি। এমন একজনের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছে ফিক্সাররা, সেই কারণেই হয়তো বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আইসিসি!