ডি কক- ভিলিয়ার্সের ব্যাটে চড়ে রান পাহাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশের বিপক্ষে এতোদিন প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ রান ছিলো ১৬৯ রান। ২০১৫ সালে মিরপুরের চার উইকেট হারিয়ে এই রান করেছিলো তারা। আজ ব্লুমফন্টেইনে সেই রান ছাড়িয়ে গেলো তারা। করলো চার উইকেটে ১৯৫ রান।

অর্থাৎ বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হবে ১৯৬ রান। মানে ওভার প্রতি রান করতে হবে ৯.৮ করে। এতো রান করে জয়ের কোনো কীর্তি নেই বাংলাদেশের— এটা নিশ্চয় বলে দেয়ার দরকার নেই।

দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করে জয়ের কীর্তি আছে সাকিবদের। সেটাও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। মানে আজ জিততে হলে রেকর্ড করা ছাড়া উপায় নেই বাংলাদেশের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ছয় ওভার শেষেই তুলে ফেলে ৬৫ রান। এর মধ্যে এর মধ্যে ৩৩ রান আসে কুইনটন ডি ককের ব্যাট থেকে। মাত্র ২০ বলে এই রান করেন তিনি।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে হাশিম আমলাকে বোল্ড করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু পেসারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তার শুরুর সেই ব্রেক থ্রু ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৮ রান দেন চার বছর পর প্রায় কিছু না করেই টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকা শফিউল ইসলাম। টি-টোয়েন্টিতে তাকে কেনো এতদিন বিবেচনা করা হয়নি তা প্রমাণ করতেই যেনো এদিন বোলিং করেছেন এই পেসার। একটা বলেও বুদ্ধি বা চিন্তার কোনো ছাপ দেখা যায়নি।

ষষ্ট ওভারে ১৮ রান দেয়ার পর সাকিব আবার শফিউলের হাতে বল তুলে দেন ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে প্রোটিয়াদের স্কোরকার্ডে উঠে গেছে ১৭১ রান, চার উইকেটে। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওভারে শফিউল দেন আরো ১৫ রান। মানে দুই ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৩ রান!

শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ১৯৫ রান, চার উইকেটে। সর্বোচ্চ কুইনটন ডি কক। রুবেলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তিনি ৫৯ রান করেন। তিনি খেলেন মাত্র ৪৪ বল। ২৭ বলে ৪৯ রান করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাহমুদুল্লাহ কাছে মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে ওভার প্রতি সবচেয়ে কাম রান দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। তিন ওভারে ৭.৬৭ করে মোট ২৩ রান তিনি। ওভার প্রতি সবচেয়ে বেশি ১৬.৫ করে রান দেন শফিউল। দুই উইকেট নেন মেহেদি হাসান। সাকিব ও রুবেল নেন একটি করে উইকেট।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একাদশ
ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ