২০০ ছাড়িয়ে বিরক্তি দূর করলো ঢাকা ডায়নামাইটস!

বিপিএলে তেমন রান হয় না— গত চার মৌসুমে বিপিএলের অর্জিত যা কিছু বিখ্যাত, তার মধ্যে এটিও বোধহয় একটি! এবারও প্রথম তিন ম্যাচে হচ্ছিলো সে রকমই। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়া ১৮ হাজার দর্শক কেবল রানের জন্য তড়পাতে দেখছিলেন ব্যাটসম্যানদের। সেই অবস্থায় বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন দর্শকরা। রোববার, বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ ছাড়ানো স্কোর করে বিরক্তিটটা সামান্য হলেও দূর করলো ঢাকা ডায়নামাইটস।

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচে সিলেটের কাছে হেরে যায় নয় উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে। ফলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণাটা দিতেই যেনো আজ মাঠে নেমেছে তারা। অন্তত খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে তাদের প্রথম ইনিংস শেষে এ কথা বলাই যায়।

কুমার সাঙ্গাকারা ও এভিন লুইস ওপেনিংয়ে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। তখনই ২০০ ছাড়ানো (২০২, সাত উইকেটে) ইনিংসের ইঙ্গিত মিলছিলো। কারণ ৩৮ রান করতে ঠিক চার ওভার খরচ করেন সাঙ্গাকারা ও লুইস। দলীয় ৩৮ রানে সাঙ্গাকারার বিদায়ের পর ঢাকার রানের চাকা ছুটতে থাকে পাগলা ঘোড়ার মতো।

এভিন লুইস ও দক্ষিণ আফ্রিকান ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ক্যামেরন দেলপোর্ট দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। সেটাও মাত্র ৫৪ বলে! এই দুজনের এমন পাগলা ব্যাটিংই মূলত ঢাকার ২০০ রানের ভিত গড়ে দেয়।

এভিন লুইস দলীয় ১৫৪ রানে আউট হন ৬৬ রান করে। লুইসের আউটের দুই ওভার পর ৬৪ রান করা দেলপোর্টও বিদায় নেন। দ্রুত এই দুই উইকেটের পতন না হলে হয়তো আরো বড় স্কোরই গড়তো ঢাকা। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০৩ রানের লক্ষ্যের সামনে পড়া খুলনার জন্য এই ম্যাচ থেকে ফল পাওয়াটা কঠিনই।

ঢাকার এই কীর্তির দিনে খুলনার হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন শফিউল ইসলাম। দুটি উইকেট পেলেও তিন ওভারে দিয়েছেন ৪১ রান। ৩৪ রান করে দিয়েছেন জরফা আরচার ও কার্লোস ব্রাফেট। 

এই ম্যাচে খুলনা শেষ পর্যন্ত যাই করুক না কেনো, ঢাকা যে ২০০ ছাড়ানো ইনিংস গড়ে দর্শকদের বিরক্তি দূর করলো, এটাই বোধহয় বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের সেরা প্রাপ্তি। বিপিএলে রান হয় না— এই বদনামটা ঘুচানোর জন্য এই ম্যাচটা নিশ্চয় প্রমাণ হিসেবে সামনে আনতে পারবেন বিপিএলভক্তর, এটাও নিশ্চয় ছোট প্রাপ্তি নয়!