টানা দ্বিতীয় জয় খুলনা টাইটান্সের

হার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এই আসর শুরু করেছিলো খুলনা টাইটান্স। কিন্তু সেই হতাশায় ডুবে যায়নি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। বরং প্রথম ম্যাচের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের দুই ম্যাচে টানা জয় পেলো তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক দলকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিলো খুলনা। এবার ঢাকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা উড়িয়ে দিলো চিটাগং ভাইকিংসকে। যা আসরে খুলনার টানা দ্বিতীয় জয়।

আজকের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে খুলনা তুলে ১৭০ রান। মাত্র ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে অবশ্য অন্য ইঙ্গিতই দিচ্ছিলো তারা। সানজামুল ইসলাম খুলনার পড়ে যাওয়া প্রথম তিন উইকেটের দুটি নিয়েছিলেন। যা ব্যাটিং ব্যর্থতার দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলো খুলনাকে।

কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক ও কার্লস ব্রাফেটের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৭০ রানের বিশাল পুঁজি পান মাহমুদুল্লাহরা। অধিনায়ক নিজে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। তার সমান রান করেন আরিফুল হকও। আর ব্রাফেট ১৪ বলে ৩০ রান করে বড় সংগ্রহ এনে দেন খুলনাকে।

চিটাগংয়ের হয়ে তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। তবে চার ওভারে তিনি খরচ করে ফেলেন ৪৩ রান। তার চেয়েও বেশি রান দিয়েছেন তানবির হায়দার। চার ওভার তার খরচ ৪৪ রান। কোনো উইকেট পাননি এই স্পিনার।

জবাব দিতে নেমে দুই রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগং ভাইকিংস। তাদের ম্যাচে টিকে থাকা সংকটের মুখে পড়ে যায় দলীয় ৩৮ রানের মধ্যে আরো দুই উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে। স্কোরবোর্ডে ১০০ রান উঠার আগে পড়ে যায় মোট পাঁচ উইকেট।

খুলনার পেসার আবু জায়েদ রাহি একাই ধসিয়ে দেন চিটাগংয়ের টপঅর্ডার। মিসবাহ উল হক ও সিকান্দার রাজা খাদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন চিটাগংকে। কিন্তু তাদের চেষ্টাটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ছিলো।

শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৫২ রান করে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস এবং ১৮ রানে জিতে যায় খুলনা টাইটান্স। খুলনা তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ১৪ নভেম্বর দুপুরে। দুপুর একটার ম্যাচটিতে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস। আর চিটাগং তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায়। ম্যাচটিতে তারা খেলবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে।