বরিশালে হবে শেখ হাসিনা সেনানিবাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নতুন একটি সেনানিবাস স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার পায়রা নদীর লেবুখালী তীরে সরকারের ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় এটি স্থাপিত হবে। এই সেনানিবাস স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র উপকূলবর্তী ২১টি জেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবেলাতেও এই সেনানিবাস ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা সেনানিবাস ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬৫ একর জমিতে নির্মিত হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপ-প্রধান সারোয়ার আলম জানান, ১৪ নভেম্বর একনেকের সভায় মোট ১০টি প্রকল্পের তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। এর মধ্যে এটি এক নম্বরে রয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৮ ঘনমিটার মাটি ভরাটের কাজ ছাড়াও ৩৫ হাজার ৩৪২ বর্গমিটার আয়তনের আটটি অফিস ভবন ও ২ লাখ ২৩ হাজার ২৯৪ বর্গমিটার আয়তনের ১২টি আবাসিক ভবন ও নয়টি অন্য ভবন নির্মান করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৯ বর্গমিটার বিটুমিনাস রোড ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ বর্গমিটার সারফেস ড্রেন তৈরি করা হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিন্নাতুন নাহার বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল-পটুয়াখালীতে কোনো সেনানিবাস নেই। অথচ এ অঞ্চলটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্যোগপূর্ণ। এ অঞ্চলে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চল অনেকটাই অরক্ষিত বলা চলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এসব বিবেচনা করেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।’