কোহলির ৫০ সেঞ্চুরির রেকর্ডের দিনেও জয়বঞ্চিত ভারত

৭৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে আবার তুলে ফেলল ২৯৪ রান। মজার ব্যাপার, তারপরও এমন একটা সময় এলো যখন মনে হচ্ছিল ভারতের না জেতাটা হবে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাই ঘটেছে কাল ইডেন গার্ডেনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের একদম কাছে গিয়েও জেতা হয়নি ভারতের।

ম্যাচের ৪৭ ওভার হাতে রেখে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। জিততে হলে তখন ২৩১ রান তুলতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। আর ড্র করতে হলে ওই ৪৭ ওভার ব্যাটিং। কিন্তু ১২ নম্বর ওভারে চতুর্থ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার স্কোর একটা সময় ছিল ৭৫/৭! ভারতের জন্য জয়টা সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে এরপর ম্যাচ বন্ধ করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি। এরপর ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। যাতে ড্রতে নিস্পত্তি হয়েছে ইডেন টেস্ট।

এই হতাশা অনেকদিন মনে থাকার কথা ভারতীয়দের। শুধু হতাশা নয়, এই ইডেন টেস্ট ভারতীয়দের জন্য অসাধারণ এক গর্বেরও সাক্ষী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে ৫০ নম্বর সেঞ্চুরিটি আজ ইডেনে তুলে নিয়েছেন কোহলি। কোহলি মানেই রেকর্ড, এই সেঞ্চুরিতে রেকর্ড হয়েছে আরেকটি। দ্রুততম সময়ে ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন কোহলি।

অবশ্য রেকর্ডটা কোহলির একার দখলে নয়। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাও ঠিক ৩৪৮টি ইনিংসে ৫০ নম্বর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। শচীন টেন্ডুলকারের ৫০ সেঞ্চুরি করতে ৩৭৬ ইনিংস লেগেছিল। রিকি পন্টিংয়ের ৪১৬, জ্যাক ক্যালিসের ৫২০, কুমার সাঙ্গাকারার ৫৯৩ ইনিংস।

এই সেঞ্চুরিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন কোহলি। তিন সংস্করণ মিলে এ বছর মোট ৯টি সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৯ সেঞ্চুরি করেছিলেন জ্যাক ক্যালিস ও রিকি পন্টিং। দুই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগই আছে ভারতীয় অধিনায়কের।

১ উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে আজ পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করেছিল ভারত। কোহলি ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন দিনের প্রথম সেশনে। পঞ্চম দিনের ভাঙা উইকেট হলেও মাঠে আসার পর থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের পাল্টা আক্রমন করে গেছেন। ১১৯ বল খেলে ১০৪ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। নিজের সেঞ্চুরি হওয়ার পরই ৮ উইকেটে ৩৫২ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি।

পরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেসারদের বিপক্ষে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ভূবনেশ্বর কুমার ৪টি, মোহাম্মদ সামি ২টি ও উমেশ যাদব ১টি করে উইকেট দখল করেছেন। ৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তারপরই খারাপ আবহাওয়ার কারণে খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি।