ব্যক্তিগত কীর্তি নয়, রিয়াদের কাছে দলের সাফল্যই বড় কথা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গত সপ্তাহেও দেশীয় খেলোয়াড়দের নিষ্প্রভতা নিয়ে চলছিলো নানা কথা। এর মধ্যেই পরপর দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার পারফর্মে ভর করে জিতলো খুলনা টাইটান্সও। কিন্তু ব্যক্তিগত কীর্তিতে মন নেই রিয়াদের। তিনি বরং মনে করেন, দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারাই বড় ব্যাপার।

রংপুর রাইডার্স, চলতি বিপিএলের সবচেয়ে তারকাবহুল দলকে চিটাগং পর্বের প্রথম ম্যাচে নয় রানে হারিয়েছে খুলনা। যা তাদেরকে নিয়ে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। একই সঙ্গে এই জয় প্রশস্ত করে দিয়েছে খুলনার শেষ চারে যাওয়ার পথও। সবই সম্ভব হয়েছে রিয়াদের টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে। যা আবার তাকে নিয়ে গেছে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকার শীর্ষে।

ম্যাচ শেষে এ সব বিষয়ে রিয়াদ বলেন, ‘দল জেতায় অবদান রাখতে পারছি বলে ভালো লাগছে। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমরা এই রকম জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে চাই।’

দল জেতায় তিনি যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এটা যেনো বেমালুম ভুলে গেলেন রিয়াদ। তিনি বরং প্রশংসায় ভাসালেন অন্যদের। রিয়াদ বলেন, ‘আগের ম্যাচে আরিফুল হক দারুণ এক ইনিংস খেলে জিতিয়েছিলো। আজ জফরা (আরচার) ও জুনাইদ (খান) খুব ভালো বোলিং করেছে। এ ছাড়া আফিফও মাঝের ওভারগুলোতে খুব ভালো বোলিং করে আমাদেরকে জিতিয়েছে।’

বিপিএল মানেই মাহমুদুল্লাহর অধিনায়কত্বের দারুণ প্রদর্শনী। গত তিন বছর ধরেই হয়ে আসছে এমন। এবারও এখন পর্যন্ত বিপিএলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অধিনায়ক তিনি। তার অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন খুলনার স্থানীয় ক্রিকেটাররা। তা কোন রহস্যে স্থানীয়দের অনুপ্রাণিত রাখছেন তিনি?

রিয়াদ বলেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, এখানে আপনি যদি মন খুলে খেলতে না পারেন, তাহলে আপনার পারফর্ম করার সম্ভাবনা কমে যাবে। আমি তাই ছেলেদের যতটা সম্ভব সাহস দেয়ার চেষ্টা করি, যাতে তারা খোলা মন নিয়ে খেলতে পারে।’

খুলনার স্থানীয় ক্রিকেটাররা যে সত্যিই খোলা মন নিয়ে খেলছেন, তার প্রমাণ এর আগে রেখেছেন আরিফুল হক। আজ রাখলেন আফিফ-তানবিররা। মাহমুদুল্লাহ যে অধিনায়ক হিসেবে ক্রমেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, তার সাক্ষী হয়ে থাকলো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ১৫ হাজারের বেশি দর্শক।