চিটাগং ভাইকিংস কি ছিটকে যাওয়া ঠেকাতে পারবে?

আট ম্যাচে পাঁচ হার— চিটাগং ভাইকিংস যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকে সবার আগে ছিটকে যাওয়ার একেবারে কাছে, সেটা নিশ্চয় না বলে দিলেও হয়। এমন অবস্থানে থাকা দলটি ঘরের মাঠে সোমবার ঢাকা ডায়ানামাইটসকে দিয়েছে ১৮৮ রানের লক্ষ্য।

ঢাকা ডায়নামাইটস, বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তাদের সর্বশেষ দুই ম্যাচে হেরে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। এই অস্বস্তি তারা দূর করতে পারে আজ জিতে। যদিও কাজটা সহজ হওয়ার কথা নয়। টি-টোয়েন্টিতে ১৮৮ রান অবশ্যই বড় লক্ষ্য।

এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগং। ওপেনিংয়ে তারা গড়ে ১৭ রানের জুটি। আরো একবার উল্লেখযোগ্য কিছু করতে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। তিনি মাত্র এক রান করে বিদায় নেন।

সৌম্যর আউটটা বোধহয় ভালোই ছিলো চিটাগংয়ের জন্য— কারণ দ্বিতীয় উইকেটে যে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দেন লুক রঙ্কি ও এনামুল হক বিজয়। রঙ্কি তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে করেন ৪০ বলে ৫৯ রান। অবশ্য তাকে ছাড়িয়ে যান এনামুল হক বিজয়। ৪৭ বলে ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এটি চলতি বিপিএলে এনামুলের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।

রঙ্কি এবং বিজয়ের ব্যাটিংয়েই মূলত বড় স্কোরের ভিত পায় চিটাগং। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে ১০ বলে ১৬ ও ১১ বলে ২৬ রান করে দলকে বড় স্কোর এনে দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও সিকান্দার রাজা।

চিটাগং ভাইকিসের বড় স্কোর গড়ার দিনে বল হাতে একেবারে সাদামাটা ছিলেন সাকিব আল হাসান। চার ওভারে তিনি দেন ৫১ রান। বিপিএলে এর আগে এতো রান কখনোই দেননি তিনি। ঢাকার হয়ে সেরা বোলার ছিলেন সুনিল নারিন। চার ওভারে মাত্র ১১ রান দেন তিনি। একটি উইকেটও পেয়েছেন এই বোলার।

রঙ্কি ও বিজয়ের ব্যাটে পাওয়া বড় পুঁজি নিয়ে কি চিটাগং কি শেষ পর্যন্ত বিপিএলে টিকে থাকতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে আজকের ম্যাচে তারা কী ফলাফল করে, তার উপর। সেটা হলেই অবশ্য হবে না, শেষ চার ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য দলের জয়-পরাজয়ের দিকেও। সেই অবশ্য তাদের হাতে নেই। তাদের হাতে আপাতত যা আছে, তা হলো আজকের ম্যাচটি জেতা।