রেকর্ডের বন্যা বইয়ে জিতল ভারত

ভারতের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল একদিন আগেই। বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরির সাথে চেতেশ্বর পুজারা, মুরালি বিজয় ও রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির পর ৪০৫ রানের লিড দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কার সামনে। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে এক উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা আগেই প্রমাণ করে রেখেছিল এই ম্যাচ বাঁচানো তাদের জন্য সাঁতরে সাগর পাড়ি দেওয়ার মতোই কঠিন। আজ প্রতিরোধও গড়তে পারল না লঙ্কানরা।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন বিষে নীল হয়ে মাত্র ১৬৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গিয়ে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। নাগপুর টেস্টে চার দিনেই ইনিংস ও ২৩৯ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো ভারত। এই বিশাল জয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় জয় এটি। অতীতে এতোবড় ব্যবধানে লঙ্কানদের হারাতে পারেনি ভারত। আগের রেকর্ডটি ছিল ইনিংস ও ১৭১ রানের জয়। চলতি বছরই পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কাকে ওই ব্যাবধানে হারিয়েছিল ভারত। চলতি বছর বিরাট কোহলির ভারতের এটি ৩২ নম্বর জয়। অতীতে এক বছরে কখনোই এতো ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। আগের রেকর্ডটি অবশ্য নিকটেরই। ২০১৬ সালে ৩১ ম্যাচ জিতেছিল কোহলির দল। আজ যে ভারত ৩২ নম্বর জয়টা পেতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে একজনেরও হয়তো সংশয় ছিল না!

১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই পেস-স্পিন গোছালো আক্রমণে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন ভারতীয় বোলাররা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসটা দেড়শও পেরুত না যদি কিনা দারুণ এক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬১ করেছেন চান্ডিমাল। লঙ্কানদের দ্বিতীয় সেরা স্কোরার লাহিরু থিরিমান্নে, ২৩ রান করেছেন থিরিমান্নে।

ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বরাবরের মতোই জ্বলে উঠেছেন। তার সাথে রবীন্দ্র জাদেজা এবং দুই পেসার ইশান্ত শর্মা , উমেশ যাদবও যোগ দিয়েছেন। কোহলি এই চার বোলারকে দিয়েই বোলিং করিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। বাকিদের দরকারই যে পড়েনি! জাদেজা, ইশান্ত, যাদব দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। বাকি চার উইকেট অশ্বিনের। এই চার উইকেটে দ্রুততম ৩০০ উইকেটের রেকর্ড হয়ে গেল অশ্বিনের।

আগের রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ডেনিস লিলির। ৫৬ টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন লিলি। আজ ৫৪ নম্বর টেস্টে ৩০০ উইকেট তুলে নিলেন অশ্বিন।