আপনি পড়ছেন

রমজানের দ্বিতীয় দশক চলছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এই দশকে গোনাহ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্তির সুযোগ রেখেছেন। রহমতের প্রথম দশ দিন পার হওয়ার পর দ্বিতীয় দশ দিন হচ্ছে মাগফেরাতের। এই সময়ে মহান রাব্বুল আলামিন রোজাদারকে তাঁর জানা-অজানা সমস্ত গোনাহ থেকে নিষ্কৃতি দেন।

ramadan big

আল্লাহ বলেন, ‘রোজাদার যে কোন শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত হোক না কেন, সে আল্লাহর রহমত বরকত ও মাগফিরাত হতে কোনক্রমেই বঞ্চিত হবে না।’ 

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘রমজানের প্রথম দশক আল্লাহ রহমত নাজিল করেন। দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের তথা গোনাহ মাফের জন্য এবং তৃতীয় দশদিন আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তি লাভের জন্য নির্ধারিত।’ 

সুতরাং এই সময়ে প্রচুর ইবাদত–বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও দোজখ হতে নাজাতের সুযোগ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রদান করেছেন।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যারা রমযানের চাঁদের প্রথম তারিখ থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজা রেখেছে তারা সে দিনের মতই নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তাদের মাতা তাদেরকে নিষ্পাপরূপে জন্ম দিয়েছিলেন।’ 

(মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ রোজার সময়ে প্রত্যেকটি বান্দার জন্য দোজখের আগুন হতে মুক্তি লাভের পাশাপাশি নিজেকে একেবারে নিষ্পাপরূপে পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর