কুমিল্লাকে উড়িয়ে ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস

লক্ষ্য ছিলো ১৯২ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স করতে পারলো মোটে ৯৬ রান। অর্থাৎ ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে লিগ পর্ব শেষে এক নম্বরে থাকা দলটি হারলো ৯৫ রানে। পক্ষান্তরে ঢাকা টানা দ্বিতীয়বার উঠে গেলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে।

১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা একবারও জেতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে রানের বোঝাটাকে আরো বাড়িয়ে নেয় তারা।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারে মোসাদ্দেকের বলে আউট হন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি করা লিটন দাস। পরের ওভারে জস বাটলারকে হারায় কুমিল্লা। ২০১৫ সালের বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ মোটামুটি তখনই শেষ হয়ে যায়।

এরপর যতো সময় গেছে, ম্যাচ থেকে কুমিল্লার সম্ভাবনা ততোই কমে গেছে। ৫৫ রানের মধ্যেই কুমিল্লা তাদের পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে। এক প্রান্ত ধরে রেখে চেষ্টা চালিয়ে যান কেবল তামিম ইকবাল। তিনি বিদায় নেন ৩১ রানে।

তামিমের বিদায়ের অনেক আগেই অবশ্য কুমিল্লার হার নিশ্চিত হয়ে যায়। এ দিন কুমিল্লার দুই থেকে আট নম্বর পর্যন্ত, সাত ব্যাটসম্যান দুই অংক ছুঁতে ব্যর্থ হন। তামিমের পর দুই অংকের ঘরে যান নয় নম্বরে নামা হাসান আলি ও দশ নম্বরে নামা মেহেদি হাসান।

ঢাকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কুমিল্লা আজ কতোটা অসহায় ছিলো, তা নিশ্চয় এই তথ্যেই প্রমাণ হয়। ঢাকার হয়ে ফাইনালে উঠার ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন শহিদ আফ্রিদি, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক। সাকিব ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন আর আফ্রিদি নেন তিনটি।

এর আগে ঢাকা করে ১৯১ রান। গত কয়েকদিন মিরপুরের উইকেট হয়ে ছিলো ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। সেখানেও ২০০ রানের ইনিংস ছিলো ঢাকার। এই উইকেটে তাদের ব্যাটসম্যানরা যে সত্যিই দক্ষ, সেটা প্রমাণ করতেই যেনো আরো একবার দুইশ-ছোঁয়া স্কোর গড়েন সাকিব আল হাসানরা।

তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে এভিন লুইসের ব্যাট থেকে। ৩২ বলে এ রান করেন তিনি। ৩২ রান আসে জো ডেনলির ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ৩১ রান ও ৩০ রান করেন কাইরন পোলার্ড ও শহিদ আফ্রিদির ব্যাট থেকে।

মিরপুরের উইকেটে টি-টোয়েন্টির প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান করে ফেলা মানেই আসলে ম্যাচের অনেকটা জিতে নেয়া। শুক্রবারেও হলো তা-ই। ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করার জন্য যে সাহস ও দক্ষতা দেখানো প্রয়োজন, তার কিছুই দেখাতে পারেনি কুমিল্লা।