শিশুকে সুন্দর অভ্যাস যেভাবে শেখাবেন

শিশুকে বিভিন্ন ধরণের রোগব্যাধি থেকে বাঁচাতে পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। এজন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন থাকেন মা-বাবাসহ অভিভাবকরা। অনেকে শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাড়তি টেনশনও করেন অভিভাবকগণ। অথচ শিশু যদি নিজ থেকেই নিজের পরিচ্ছন্নতা শেখে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কী কী উপায়ে শিশুকে আমরা তার নিজের দিকে খেয়াল ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে শেখাতে পারি।

খাবারের আগে পরে ও বাথরুম থেকে আসার পর অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুতে হবে- এটি শিশুকে ভাল করে বুঝিয়ে বলুন। প্রাণি ও ময়লা ধরার পর তাকে বলুন কেন তাকে হাত ধুতে হবে। জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য পরিচ্ছন্নতা যে জরুরি তা কার্টুন বা অন্য কিছুর মাধ্যমেও বুঝাতে পারেন। হাত ধুয়ার নিয়মগুলোও নিজে থেকে দেখিয়ে দিন।

অনেক বাচ্চারা গোসল করতে চায় না। ছোট থেকেই তাকে গোসলের ব্যাপারে অভ্যাস করালে এ সমস্যা থাকে না। একাকী গোসল করা না শেখা পর্যন্ত তাকে নিজে গোসল করিয়ে দিন। আর এসময় তার নিজের শরীর পরিষ্কারের বিষয়ে উৎসাহিত করুন।

মাঝে মাঝে তার হাতে পানির মগ বা পরিষ্কার ব্রাশ দিতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের শিশু পেস্ট ও ব্রাশ পাওয়া যায়। যা দাঁত ব্রাশের ক্ষেত্রে শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। প্রতিদিন দুইবেলা দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দরকার হলে নিজের সাথে ডেকে নিয়ে এক সাথে ব্রাশ করুন। একটু বুঝতে শুরু করলে দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি দাঁত ফ্লস করার নিয়মগুলোও দেখিয়ে দিন। ব্রাশ করার সময় সব ময়লা অনেক সময় দূর হয় না তাই ফ্লস করার দরকার হয়। ফ্লস করার জন্য তাগাদা দিন।

হাঁচি কাশি দেয়ার সময় রোগজীবাণু ছড়ায় এটি শিশুকে বুঝিয়ে বলুন। যাতে সে এই সময়গুলোতে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেয়। তার কাছে যেন টিস্যু বা রুমাল থাকে সেটাও নিশ্চিত করুন।

শিশুদের নখ কাটার ব্যাপারে সচেতন করুন। নখ কেটে দিন ও কিভাবে কাটতে হবে তাও শিখিয়ে দিন। ধারালো কিছু দেবেন না নখ কাটার জন্য, নেইল কাটারে ব্যবহার দেখিয়ে দিন। নখ কাটা যে কত জরুরি তা তার কাছে সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করুন। 

পেটের সমস্যা ও কৃমি থেকে বাঁচতে নখ ও হাত যে পরিষ্কার রাখতে হবে সেটা শিশুদের বুঝিয়ে বলুন। নিজেদের পরিচ্ছন্নতা শিখিয়ে দিলে শিশুরা তাদের সুস্থতা নিজেরাই নিশ্চিত করবে। আর এতে করে ভবিষ্যতে তার সুন্দর অভ্যাসও গড়ে উঠবে।