আজ ২৭ ডিসেম্বর গুগলে গেলেই চমকে যাবেন। উর্দু গজলের বিখ্যাত কবি মির্জা গালিবের ২২০তম জন্মদিনে বিশেষ ডুডল প্রদর্শন করছে গুগল। অনলাইনে গুগলে ঢুকলেই চোখে পড়ছে বিশেষ ডুডলটি।

Mirza Galib

এতে দেখা যাচ্ছে—আকাশে সূর্য উদিত হওয়ার সময় (কবিতা লিখতে) কাগজ-কলম নিয়ে মসজিদের ভেতর থেকে বের হচ্ছেন গালিব। এর বাইরে প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর সুউচ্চ মিনার। ওই ডুডলের ওপর ক্লিক করলে মির্জা গালিব সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের খবর ও তথ্য দেখাচ্ছে গুগল।

বিশেষ দিন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে বা স্মরণ করতে গুগল প্রায়ই বিশেষ লোগো প্রদর্শন করে। এটি ডুডল হিসেবে পরিচিত। 

এক নজরে মির্জা গালিব: ইংরেজি সাহিত্যে যেমন শেক্সপিয়র তেমনই উর্দু সাহিত্যের প্রসঙ্গ আসলে প্রথমেই আসে মির্জা গালিবের নাম। এছাড়াও উর্দু, ফার্সি ও তুর্কি ভাষায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন তিনি। বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী গালিবের প্রকৃত নাম মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ খান। গালিব ছিল তার ছদ্মনাম। তবে সাহিত্যে তিনি মির্জা গালিব হিসেবেই পরিচিত।

জীবনের গল্প: বিখ্যাত এ কবি ১৭৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের আগ্রার কালামহলে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তার সৈনিক বাবাকে হারান। এরপর চাচার তত্ত্বাবধানে বড় হন। জীবন কাটে নানা দুঃখ-কষ্টে।

আগ্রায় জন্ম হলেও গালিবের কবি প্রতিভার চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে দিল্লিতে। নয় বছর বয়সে ফার্সিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন গালিব। পরবর্তীতে শুরু করেন উর্দুতে কবিতা লেখা। তার প্রথম দিকের গজলগুলোতে ছিল বিরহী মনের আকুতি। পরে প্রকাশ পায় সুফি চিন্তাধারা। শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সময় তিনি সভাকবির মর্যাদা লাভ করেন। ভারতের শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর বিখ্যাত কবিকে প্রদান করেছিলেন ‘দাবির-উল-মূলক’ ও ‘নজম-উদ-দৌলা’ খেতাব।

১৮১০ সালে প্রায় তের বছর বয়সে গালিব ওমরাও বেগম নামের এক সম্ভ্রান্ত রমণীকে বিয়ে করেন। বিবাহিত জীবনে সাত সন্তানের জনক হলেও তার একটি সন্তানও বাঁচেনি। শৈশবের অভিভাবকহীনতা আর নিজ সন্তানদের অকাল মৃত্যু গালিবের মনে চির বিষণ্ণতার জন্ম দেয়।

জীবনের প্রতি দুঃখ: জীবনের নানা বাঁকে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তার হৃদয়-মন সব সময় তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো।  কবিতা বা শেরের বিভিন্ন পঙক্তিতে এই দুঃখবোধ, অভাব, আর অপ্রাপ্তির অভিযোগ বারবার ফুটে উঠেছে। তেমনি এক শের এ গালিব বলছেন- ‘দিল হি তো হ্যায়, না সংগ ও খিস্ত, দর্দসে ভর না আয়ে কিউ/ রোয়েংগে হাম হাজার বার, কোই হামেঁ সাতায়ে কিউ।’ অর্থাৎ, ‘এটাতো আমার মন, ইট পাথরতো নয়, বেদনায় ভরবে না কেন?

মৃত্যু: ১৮৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দিল্লীতে মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারের কাছে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়৷

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.