কিশোর নাজিমুদ্দিনের হত্যাদৃশ্য ফেসবুকে

কিশোর রাজন হত্যার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এখন সারাদেশ থেকে আরও শিশু নির্যাতনের খবর বের হয়ে আসছে। সর্বশেষ রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার মস্তুল গ্রামে ১৪ বছরের কিশোর নাজিমুদ্দিনকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে হত্যা করার খবর বের হয়ে এসেছে। গত ১৪ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে।

রাজনের ঘটনার মতন নাজিমুদ্দিনের বেলায়ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিলো। তবে এবার ছিলো কবুতর চুরি। চুরি করার অপরাধে নাজিমউদ্দিনকে হাত-পা বেঁধে রাজধানীর বালু নদীতে ফেলে দেয়া হয়। হাত-পা বাঁধা নাজিমুদ্দিনের নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে নির্যাতনকারীরা।

এই ঘটনাতেও নাজিমুদ্দিনের ওপর অত্যাচারের চিত্র ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করে দেয়া হয়।

নাজিমুদ্দিনের বাবা সালাম মিয়া জানান, তিনি পরিবার নিয়ে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় থাকেন। এ বছরের ১২ এপ্রিল নাজিমুদ্দিন তাঁর এক বন্ধুর সাথে বাইরে যাওয়ার পর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এরপর ১৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাঁরা তাদের ছেলের লাশ খুঁজে পান।

সালাম মিয়া দাবি করেন, তাঁর ছেলে চুরি করতে পারে না। নাজিমুদ্দিন চোর নয়।

খিলক্ষেত থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এই বছর ১৪ এপ্রিল খিলক্ষেতের মস্তুল গ্রামের ৮ থেকে ১০ জন যুবক কবুতর চুরির অপরাধে নাজিমুদ্দিনের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালায়। এরপর যুবকরা হাত-পা বেঁধে তাঁকে বালু নদীতে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে সালাম মিয়া সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১৮ এপ্রিল খিলক্ষেত থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইলে নাজিমুদ্দিনকে হত্যার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলা খিলক্ষেত থানায় থাকা অবস্থায় ভালোই অগ্রগতি হলেও হঠাৎ করে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। এখন মামলার কী অবস্থা তা জানতে সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেন নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

বেড়েছে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু

বিনানুমতিতে ছবি তোললে ১০ বছর জেল 

বান্দরবানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সড়ক