মুমিনুল হকের ইতিহাস গড়া দুই সেঞ্চুরির টেস্টটা শেষ পর্যন্ত ড্র করলো বাংলাদেশ। অথচ পঞ্চম দিন শুরুর আগে শঙ্কা ছিলো, দুই এক সেশনই হয়তো অলআউট হয়ে হারতে হবে ম্যাচটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুমিনুল-বীরত্বে গর্বের উপলক্ষ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ।

mominul hits two centuries in single match

চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ৮১ রান করতেই হারিয়ে ফেলেছিলো তিন উইকেট। তখনও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিলো ১১৯ রানে। এ অবস্থায় কেবল প্রবল আশাবাদীরাই বাংলাদেশের ড্রর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। পঞ্চম দিন শেষে প্রমাণ হয়ে গেলো— আশা করাই ভালো!

এই ম্যাচে হারের মুখ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেন লিটন দাস ও মুমিনুল হক। পঞ্চম দিন সকাল থেকে শুরু করে পুরো ৫১ ওভার ব্যাটিং করেন তারা। প্রায় দুই সেশন দীর্ঘ জুটিতে তারা যোগ করেন ১৮০ রান। ছয় রানের জন্য লিটন দাস সেঞ্চুরি মিস করলেও মুমিনুল ঠিকই টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার জুটিটিই মূলত হারের মুখ থেকে ফেরায় বাংলাদেশকে।

mominul hits two centuries in single match 1

কিন্তু পরিস্থিতি যে এ রকম হবে, তা কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর একদমই কল্পনা করা যায়নি। তখন বরং মনে হয়েছিলো চট্টগ্রাম টেস্ট্রে শ্রীলঙ্কাকে ভুগিয়ে ছাড়বে বাংলাদেশ। ৫১৩ রনের ওই পাহাড় গড়তে মূল ভূমিকা রেখেছিলেন মুমিনুল হক।

গত দুই তিনটা বছর নিদারুণ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাবেক কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে এসেই প্রমাণ করা শুরু করেন যে, একে দিয়ে হবে না। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাকে অচ্ছ্যুৎ ঘোষণা করে দেন চান্দিকা। টেস্টেও মুমিনুল হয়ে উঠেন নড়বড়ে। চান্দিকার অবহেলা ও বঞ্চনায় বাংলাদেশ হারাতে বসেছিলো মুমিনুলকে।

কিন্তু মুমিনুল হারাননি। চান্দিকার বিদায়ের পর ঘরোয়া পর্যায়েই দেখা মিলে তার নির্ভার রূপের। চট্টগ্রাম টেস্টে চান্দিকাকে প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে পেয়ে মুমিনুল জ্বলে উঠলেন তার উত্থানের সময়ের মতো। প্রথম ইনিংসে লিখলেন ১৭৬ রানের মহাকাব্য। স্পিনের বিপক্ষে, বিশেষত অফস্পিনের বিপক্ষে তার দুর্বলতা নিয়ে অভিযোগ ছিলো চান্দিকার।

মুমিনুল ১৭৬ করলেন শ্রীলঙ্কার সব ভয়ঙ্কর স্পিনারদের মোকাবেলা করেই। এই ইনিংস খেলার পথে সেঞ্চুরির পর মুমিনুল যে বন্য উদযাপনে মেতেছিলেন, তা যেনো জবাব ছিলো চান্দিকার অবহেলার প্রতিই। মুমিনুল শূন্য যে ঘুষি ছুড়েছিলেন, তা যেনো ছিলো চান্দিকার কোচিং দর্শনের মুখে!

কিন্তু মুমিনুল-বীরত্বে ৫১৩ রানের পর বাংলাদেশ পড়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের তোপের মুখে। ৭১৩ রানের পাহাড় গড়ে পাল্টা জবাব দেয় তারা। সেঞ্চুরি করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুসাল মেন্ডিস ও রোশেন সিলভা। তিন তিনটি সেঞ্চুরিতে ভর করে এতো রান করে লঙ্কানরা। এরপরই মূলত হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।

চতুর্থ দিন শেষেও শঙ্কাটা ছিলোই। দ্রুত তিন উইকেট হারনোর পর শঙ্কা ছাড়া কিছুই ছিলো না বাংলাদেশের। এরপরই বীরত্বের গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায় রচনা করেন মুমিনুল। তাকে দারুণ সহায়তা দেন লিটন দাস। এই দুজনের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের পর যে সামান্য কাজ বাকি ছিলো তা করে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পরে দিনের খেলার ১৭ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।

চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের নাকাল অবস্থা দেখার পরও এ দিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন হাজার ছয়েক দর্শক। এই আশাবাদী দর্শকদের হতাশ করেননি মুমিনুলরা। ঢাকা টেস্টের আগে এই ড্র নিশ্চয় অনুপ্রেরণা হয়েই থাকবে মাহমুদুল্লাহদের জন্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৫১৩/১০ ও ৩০৭/৫; শ্রীলঙ্কা ৭১৩/৯। ফলাফল: ড্র। ম্যাচসেরা: মুমিনুল হক ১৭৬ ও ১০৫।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.